নয়া দিল্লি: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ; করে ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ (INDIA) । গত ১১ জুলাই বেঙ্গালুরুতে আয়োজিত বিরোধী দলগুলির বৈঠকেই চূড়ান্ত হয়েছে বিরোধী-জোটের সিদ্ধান্ত ও জোটের নতুন নাম। এবার আগামী দিনের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে ফের বৈঠকে বসছে বিরোধী দলগুলি। আগামী মাসে মুম্বইয়ে (Mumbai) বৈঠকে বসবে ‘ইন্ডিয়া’ জোট।
সূত্রের খবর, আগামী ২৫ ও ২৬ অগস্ট দু-দিন ব্যাপী মুম্বইয়ে বসবে বিরোধী জোটের বৈঠক। এই নিয়ে তৃতীয়বার এক টেবিলে বসতে চলেছেন বিরোধীরা। এই বৈঠকে মোট ২৬টি অবিজেপি দল যোগ দেবে এবং ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সমস্ত শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। যদিও এই বৈঠকে ঠিক কী নিয়ে আলোচনা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপি-সহ এনডিএ জোটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রণনীতি স্থির করতেই ‘ইন্ডিয়া’-র নেতারা বৈঠকে বসবেন বলে সূত্রের খবর। মূলত, আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রচারে এনডিএ-র বিরুদ্ধে কোন ইস্যুগুলি তুলে ধরা হবে, কীভাবে প্রচার করা হবে, সেই সমস্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে সূত্রের খবর।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি (ইউ) নেতা নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে বিরোধী জোটের প্রথম বৈঠকটি বসেছিল গত ২৩ জুন পাটনায়। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিল ১৫টি অবিজেপি দল। যার মধ্যে নীতীশ কুমার ছাড়া মধ্যমণিতে ছিলেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, লালু প্রসাদ যাদব। সেই বৈঠকেই বিরোধী-জোট তৈরির রূপরেখা প্রায় স্থির হয়ে যায়। তারপর গত ১১ জুলাই বেঙ্গালুরুর এক পাঁচতারা হোটেলে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হন বিরোধী জোটের নেতারা। সেখানেই সনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শরদ পাওয়ার, লালু প্রসাদের মতো শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের উপস্থিতিতে বিরোধী-জোট গঠিত হয়। পূর্বতন অবিজেপি জোট ইউপিএ-র নাম বদলে নতুন নামকরণ করা হয় ‘ইন্ডিয়া’ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো এই নামের প্রস্তাব দেন। নীতীশ কুমার প্রথমে আপত্তি জানালেও পরে সকলের সহমতে বিরোধী জোটের ইন্ডিয়া চূড়ান্ত হয়। এবার আগামী লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে ‘ইন্ডিয়া’-র রণকৌশল স্থির করতেই মুম্বইয়ে ফের বিরোধীরা বৈঠকে বসবেন।
প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তাল গোটা দেশ। যার প্রভাব পড়েছে সংসদেও। প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে প্রতিদিনই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যে রিলে অনশনও করেছে। এবার বিরোধিতার ঝাঁঝ আরও বাড়াতে এবং বিজেপিকে চাপে রাখতেই ‘ইন্ডিয়া’ নেতৃত্ব বৈঠকে বসবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।