নয়া দিল্লি: আগামী মাসেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তার আগেই বিরোধী পক্ষের তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্বাচনের জন্য তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। অবিজেপি শাসিত রাজ্য ও বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার কাজে নেমেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। বুধবারই দিল্লিতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন ২২ জন নেতা-মন্ত্রী। তবে যোগ দিয়েছিলেন ১৭ টি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। বৈঠকের আগে থেকেই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছিল শরদ পাওয়ারের নাম। বৈঠক শেষে জানা যায়, আরও দুই পদপ্রার্থীর নাম উঠে এসেছে। তাঁরা হলেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও ন্য়াশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লা। এদিকে, অপর একটি সূত্রে খবর রাষ্ট্রপতির দৌড় থেকে সরে যেতে চান শরদ পাওয়ার। সূত্রের খবর, আগামী ২১ জুন ফের বৈঠকে বসতে পারেন বিরোধীরা। সেখানেই তারা রাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
সূত্রের খবর, এখনই রাষ্ট্রপতি দৌড়ে সামিল হতে চান না শরদ পাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তিনি এখনও যথেষ্ট সক্রিয়। রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলে আর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। আপাতত তিনি তা চান না। সেই কারণেই তাঁর বদলে যেন অন্য কাউকে রাষ্ট্রপতির পদপ্রার্থী হিসাবে বাছাই করা হয়।
অন্যদিকে, মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতা ফারুক আবদুল্লার নাম প্রস্তাব করা হলেও, কেন্দ্রের কাছে কার নাম জমা দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ফের একবার মুখোমুখি হতে পারেন বিরোধী নেতৃত্বরা। আগামী ২১ জুন এই বৈঠকের আয়োজন করা হতে পারে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এবারের বৈঠকে পৌরহিত্য করতে পারেন খোদ শরদ পাওয়ার।
গতকাল বিরোধীদের বৈঠকের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ফোন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিরোধীদের বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, সে সম্পর্কে জানতে চান তিনি। তবে কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় ছাড়াও কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, অখিলেশ যাদবের কাছেও রাজনাথ সিংয়ের ফোন আসে। তবে সকলেই সাফ জানান, আগে কেন্দ্র তাদের তরফে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর নাম জানাক। তারপরই বিরোধীরা নিজেদের প্রার্থীর নাম জানাবে।