চণ্ডীগঢ়: সম্প্রতিই টিকাকরণ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছিল পঞ্জাব সরকার। অভিযোগ উঠেছিল, চড়া দামে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে ভ্যাকসিন বিক্রি করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ বার করোনা পরীক্ষার কিট নিয়েও শুরু হল বিতর্ক।
পঞ্জাবের বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, রাজ্য সরকার ক্রমাগত টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বদল আনছে এবং বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে চড়া দামে করোনা পরীক্ষার কিট কিনছে। এর পিছনে বড় কোনও দুর্নীতি লুকিয়ে থাকতে পারে বলেই বিরোধীদের সন্দেহ।
জানা গিয়েছে, এক মাসের মধ্যেই পঞ্জাব সরকার তিনবার টেন্ডার ডেকেছে এবং তিনধরনের দামে মোট ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৬৮টি করোনা পরীক্ষার কিট কিনেছে। প্রথম টেন্ডারটি ডাকা হয় ৩ এপ্রিল, যেখানে ৮৩৭ টাকা প্রতি কিটের দরে ১৬ হাজার ৬৬৮ টি করোনা পরীক্ষার কিট কেনে। এরপর ২০ এপ্রিল ফের ৫০ হাজার কিট কেনা হয়। এবার দাম পড়ে কিট প্রতি ১২২৬ টাকা।
তৃতীয় টেন্ডারটি গত ৭ মে ডাকা হয়। ১৩৩৮ টাকা প্রতি কিটের দামে মোট দেড় লক্ষ করোনা পরীক্ষার কিট কেনা হয়। সমস্ত কিট মিলিয়ে রাজ্য সরকারের খরচ হয় ২৭ কোটি টাকা। তবে এরমধ্যে কত কিট রাজ্য সরকারের হাতে এসে পৌছেছে এবং করোনা রোগীদের পরীক্ষায় ব্যবহার হয়েছে, তা অজানাই রয়ে গিয়েছে।
বিরোধীদের আরও অভিযোগ, “ফতেহ কিট” নামে করোনা চিকিৎসার জন্য যে সামগ্রিক কিট কেনা হয়েছে, সেখান থেকেও কমপক্ষে তিনটি জিনিস উধাও। বেশ কয়েকটি জিনিসের দামও উল্লেখ নেই। ইতিমধ্যেই এই টেন্ডার ডাকাকে কেন্দ্র করে আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই বিষয়ে পঞ্জাব সরকার সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে অস্বীকার করে এবং সরাসরি আদালতেই এই বিষয়ে জবাবদিহি করার কথা জানায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলবীর সিং সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “হাইকোর্টে মামলার শুনানি এখনও বাকি। আমাদের আধিকারিকরা সেখানেই রাজ্যের তরফে জবাব জমা দেবে। বিরোধীদের অভিযোগে কোনও সত্যতা নেই। তারা বিনা কারণেই এই বিষয়গুলি নিয়ে ইস্যু তৈরি করছে, শীঘ্রই গোটা ঘটনার সত্যতা সামনে আসবে।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতিই শিরোমণি আকালি দলের তরফে পঞ্জাব সরকারের বিরুদ্ধে চড়া দামে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। বিতর্কের মুখে পড়েই রাজ্য সরকার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকা বিক্রি বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
আরও পড়ুন: ‘অযথা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে’, আগামী ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমণের সম্ভাবনা কতটা, জানালেন এইমস কর্তা