নয়া দিল্লি: টিকাকরণে গতি এলেও এড়ানো যাচ্ছে না করোনা(COVID-19)-র ভ্রূকূটি। এক বছর আগের চিত্রই ফিরে আসছে আবার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৮৮২ জন। চলতি বছরে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ১৩ লাখের বেশি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। একদিনেই সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের।
গত বছরের মার্চ মাসেই করোনা সংক্রমণের কারণে দেশজুড়ে লকডাউন (Lockdown) জারি করা হয়। সংক্রমণের হার কমতেই ধীরে ধীরে শীথিল করা হয়েছিল নিয়মবিধি। কিন্তু বছর ঘুরতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের গণ্ডি পার করতে শুরু করেছিল। মার্চ মাসেই সেই সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজারে। গত শুক্রবারে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ২৮৫। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই আক্রান্তের সংখ্যাই বেড়ে দাঁড়াল ২৪ হাজার ৮৮২।
আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের কারণে ১৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৬-এ। বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২ হাজার ২২।
দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যার ৮৫ শতাংশই মোট পাঁচটি রাজ্য থেকে আসছে। আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এরপরই রয়েছে কেরল(Kerala), পঞ্জাব(Punjab), কর্নাটক(Karnataka), গুজরাট(Gujrat) ও তামিলনাড়ু(Tamil nadu)-র নাম। এই বিষয়ে শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে যে অমরাবতীর পর এবার নাগপুরেও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলে বাকি জেলাগুলিতেও সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হতে পারে।