Kashmir Civilian Killing: ৬ দিনে ৭ নাগরিকের হত্যা! অশান্তি এড়াতে ৭০০ জন আটক কাশ্মীরে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Oct 10, 2021 | 9:33 PM

Security Forces: শেষ ৬ দিনে উপত্যকায় সাত জন সাধারণ নাগরিককে হত্য়া করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত, শিখ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭০০ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী।

Kashmir Civilian Killing: ৬ দিনে ৭ নাগরিকের হত্যা! অশান্তি এড়াতে ৭০০ জন আটক কাশ্মীরে
কাশ্মীরে কড়া প্রহরায় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী। ফাইল ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি : আতঙ্ক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কাশ্মীরে (Kashmir)। শেষ ৬ দিনে উপত্যকায় সাত জন সাধারণ নাগরিককে হত্য়া করা হয়েছে। তাঁরা কোনও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের নন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত, শিখ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭০০ জনকে আটক করেছে নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী (Security Forces)।

যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। এর পাশাপাশি ওভার গ্রাউন্ড ওয়ার্কারও রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

কাশ্মীর পুলিশের এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “(কাশ্মীর) উপত্যকায় যে একের পর এক হত্যা, নাশকতা চলছে… তার শৃঙ্খল ভাঙার জন্য এদের আটক করা হয়েছে।” ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, তালিবান আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসার পর কট্টরপন্থীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। সেই কারণেও এই হামলা হতে পারে এবং যারা খুন করছে, তার খুঁজে খুঁজে ‘সহজ’ নিশানা বেছে নিচ্ছে।

ইতিমধ্যেই একের পর এক হত্যার ঘটনায় কাশ্মীর উপত্যকায় উত্তেজনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে এবং স্থানীয়দের মধ্য়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। হামলা বন্ধ করতে না পারায় বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার ও প্রশাসন। স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক দানা বাঁধছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ বলেছিলেন, নিরীহ মানুষ মারা যাচ্ছে এবং সরকারকে কাশ্মীর প্রসঙ্গে নীতি আবার বিবেচনা করে দেখার জন্য দাবি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখে যাওয়ার জন্য বলেন তিনি। কাশ্মীরবাসীকে আশ্বস্ত করার অনুরোধ করেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছিলেন এমন অনেক কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবার ইতিমধ্যেই ভয়ে উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। শেষ যে দু’জনের খুন হয়েছে, তাঁরা উভয়েই ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক – সুপুন্দর কৌর (শিখ) এবং দীপক চাঁদ (হিন্দু)। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে আততায়ীরা গুলি করে হত্যা করেছিল শিক্ষকদের।

এদিকে, কাশ্মীরের ১৬ টি জায়গায় হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তন্দন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। জঙ্গি কার্যকলাপ রোধে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত তদন্তকারী সংস্থার দল ‘ভয়েস অব হিন্দ’ সংক্রান্ত মামলায়, শ্রীনগর, বারামুল্লা, অনন্তনাগ, কুলগম সহ মোট ৯ টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে।

দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত কেন্দ্রিক অনলাইন ম্যাগাজিন ‘ভয়েস অব হিন্দ’ প্রকাশিত হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর উপত্যকার মুসলিম যুব সমাজকে আগ্রাসী করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এই পত্রিকা প্রকাশ করা হচ্ছিল। পত্রিকা প্রকাশের কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিস (ISIS) রয়েছে বলেই জানতে পেরেছে গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন : Kashmir: কাশ্মীরে আইসিস! ১৬ টি জায়গায় তল্লাশিতে এনআইএ

Next Article