নয়া দিল্লি: আইআইটি, এনআইটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের মতো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহুদিন ধরেই পাক ও চিনা হ্যাকারদের নজরে। এবার আর্মি স্কুল ও এমনকি আর্মির ভেন্ডারদেরও উপর নজর শক্রদেশের সাইবার হ্যাকারদের। সম্প্রতি বেশ কিছু সাইবার হানার চেষ্টা রুখে দিয়েছে।
সেনার সাইবার অ্যাটাক প্রিভেনশন সেল। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের হ্যাকাররা (Pakistani Hacker) এই হামলা চালালেও পিছন থেকে সাপোর্ট দিয়েছে চিনের সরকারি হ্যাকার বাহিনী। তারপরই এই সূত্রে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে সাইবার সেল। এখানে বলা হয়েছে, আইআইটির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাধিক সাইবার হানার চেষ্টা আমরা রুখে দিয়েছি। তবে, এবার সাইবার হানা হচ্ছে একেবারে অন্য পথে, অন্য ভাবে। তাই আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন ।
বেশ কয়েক বছর ধরেই আইআইটি সহ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রগুলিকে টার্গেট করছে হ্যাকাররা। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতীয় সেনার হয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্পে যুক্ত। আর সেই কারণেই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা হয়। তাই আইআইটির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা বেশ মজবুত। কিন্তু পাক হ্যাকাররা এবার নতুন পথও ধরেছে। আর সেটাই চিন্তার।
সূত্রের খবর, আর্মি স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ঢুকছে হ্যাকারের দল। হোয়াটস অ্যাপ থেকে আর্মি অফিসারদের গ্রুপে এন্ট্রি নিচ্ছে। অর্থাত্ আর্মি স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কোনওভাবে ঢুকে পড়া, সেখান থেকে সেনাকর্মী – অফিসারদের তথ্য নেওয়া। এই হচ্ছে হ্য়াকারদের মূল উদ্দেশ্য। এটা করা গেলে দুটো উদ্দেশ্য পূরণ হবে। প্রথমত, ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে অর্ন্তঘাতের চেষ্টা করা যাবে। দ্বিতীয়ত, সেনা অফিসারদের ফোন ও হোয়াটস অ্যাপে নজর রাখার সুযোগ পাওয়া যাবে। শুধু সেনা অফিসার নয়, সাইবার নজরদারিতে সেনার ভেন্ডাররাও। হ্যাকারদের নজরে আর্মি ক্যান্টিন ও রিসোর্স ডিভিশন। অস্ত্র কেনাবেচার পোর্টালও ক্লোন করার চেষ্টায় পাক হ্যাকাররা।
সূত্রের খবর, পাক ও চিন যৌথভাবে ভারতের বিরুদ্ধে যে সাইবার অপারেশন শুরু করেছে, তার মূল উদ্দেশ্যই ভারতীয় সেনা অফিসারদের ফোন ও ল্যাপটপ হ্যাক করা। আর্মি স্কুল থেকে শুরু হচ্ছে প্ল্যানিং। সেনা সূত্রে খবর, ‘ট্রান্সপারেন্ট ট্রাইব’ নামে গোষ্ঠীকে সাইবার হানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভারতে সাইবার হানার দায়িত্বে ‘সাইডকপি’।
তবে ভারতের সাইবার কাউন্টার প্ল্যানও তৈরি। সেনা সূত্রে খবর, সম্ভাব্য সাইবার হানার কথা মাথায় রেখে কয়েকটি ব্যবস্থা নিতেই হচ্ছে। আর্মি স্কুল থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ভেন্ডার – সেনার সঙ্গে যুক্ত সব প্রতিষ্ঠানে তথ্য নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করা হয়েছে। আর্মি স্কুলের সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সেটিং বদল করার কথাও বলা হয়েছে। এখন দেখার এই পথে কতটা প্রতিহত করা যায় হ্যাকারদের।