Pakistani Drone Shot: অন্ধকার আকাশে দেখা যাচ্ছিল লাল টিমটিমে আলো, বিএসএফ গুলি চালাতেই পগারপার ‘রহস্যজনক’ বস্তু!

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

May 14, 2022 | 11:28 AM

Pakistani Drone Shot: বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ জম্মুর আরএস পুরার আর্ণিয়া সেক্টরের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সন্দেহজনক ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

Pakistani Drone Shot: অন্ধকার আকাশে দেখা যাচ্ছিল লাল টিমটিমে আলো, বিএসএফ গুলি চালাতেই পগারপার রহস্যজনক বস্তু!
প্রতীকী চিত্র

Follow Us

জম্মু: সীমান্ত পার করে দেশের উপরে নজরদারি ও সন্ত্রাস চালানোর জন্য নয়া হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ড্রোন (Drone)। সীমান্ত পার করেই ফের দেশে নাশকতা চালানোর চেষ্টা চালানো হল পাকিস্তানের তরফে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর নজর এড়ানো এত সোজা নয়। শনিবার ভোররাতে ভারত-পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক সীমান্ত, জম্মুর আর্ণিয়ায় আকাশে একটি পাক ড্রোন নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি চালায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এরপরই পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যায় ওই ড্রোনটি। বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই ড্রোনটি পাকিস্তান থেকে এসেছিল।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার ভোর ৪টে ৪৫ মিনিট নাগাদ জম্মুর আরএস পুরার আর্ণিয়া সেক্টরের কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সন্দেহজনক ড্রোন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ড্রোনটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সাত-আট রাউন্ড গুলি চালানোর পরই ড্রোনটি পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যায়।

বিএসএফের জিআইজি এস পিএস সান্ধু জানিয়েছেন, এদিন ভোররাতে সীমান্ত লাগোয়া আর্ণিয়া সেক্টরে সন্দেহজনক একটি লাল আলো দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ বুঝতে পারে যে আকাশে ড্রোন ঘুরে বেড়াচ্ছে। ড্রোনটি লক্ষ্য করে সাত-আট রাউন্ড গুলি চালানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের দিকে পালিয়ে যায় ড্রোনটি। পুলিশ ও বিএসএফ মিলিতভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। জম্মু-কাশ্মীরের পাশাপাশি পঞ্জাব সীমান্তেও ড্রোনের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী একাধিকবার ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র ও মাদক পাচারের ছকও বানচাল করেছে। মূলত পঞ্জাব সীমান্ত থেকে মাদক ও জম্মুর সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে অস্ত্র সরবরাহ করে।

গত বছর জম্মুর সেনাঘাঁটিতে ড্রোনের মাধ্যমে হামলাও চালানো হয়। এরপরই কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি ড্রোনের দেখা মেলে। সীমান্তের ওপার থেকে নাশকতা চালাতেই ড্রোন পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি। যদিও পাকিস্তানের তরফে প্রতিবারই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Next Article