লখনউ: পেশায় স্কুল শিক্ষিকা তিনি। গ্রামে বেশ সম্মানও রয়েছে তাঁর। স্কুল থেকে ফেরার পথেই গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁকে বাইকে বাড়ি অবধি ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রথমে না করলেও, বিকেল হয়ে আসায় শেষ অবধি রাজি হয়ে গিয়েছিলেন ২৮ বছরের ওই শিক্ষিকা। যাওয়ার পথেই ওই ব্যক্তি হঠাৎ নাকের সামনে কিছু একটা ধরেছিলেন। ব্যস, এতটুকুই মনে রয়েছে তাঁর। জ্ঞান ফেরার পর বুঝতে পারেন, গায়ে একটা সুতোও নেই। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামেই নিজের লালসা মিটিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে গল্প এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়োও করেন ওই ব্যক্তি। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে স্কুল শিক্ষিকার উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন ধর্মান্তকরণ করে তাঁকে বিয়ে করার জন্য। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের সাহজাহানপুরে। শুক্রবারই পুলিশের তরফে জানানো হয়, নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খোঁজ চলছে অভিযুক্তের।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮ বছর বয়সী ওই যুবতী উত্তর প্রদেশের একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। চলতি মাসের শুরুতেই তাঁকে গ্রামের এক ব্যক্তি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করেন। শারীরিক নির্যাতনের সেই ঘটনা তিনি মোবাইলে রেকর্ড করে রাখেন। পরে সেই ভিডিয়ো দেখিয়েই তিনি নির্যাতিতার উপরে চাপ সৃষ্টি করেন ধর্ম বদলে তাঁকে বিয়ে করার জন্য। শেষ অবধি ওই যুবতী বৃহস্পতিবার পুলিশে অভিযোগ জানান। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশ ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আমির সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে তাঁর মা, বোন ও অপর এক আত্মীয়ের নামও রয়েছে।
নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ৪ মে তিনি যখন স্কুল থেকে ফিরছিলেন, সেই সময় অভিযুক্ত তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। প্রথমে তিনি রাজি না হলেও, পরে জোরাজুরি করায় তিনি রাজি হন। মাঝপথেই ওই ব্যক্তি হঠাৎ একটি বস্তুর গন্ধ শোঁকান, এরপরই তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন। ওই অবস্থাতেই তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি।
পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেট সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, নির্যাতিতা যুবতীর উপর অভিযুক্তের পরিবার চাপ সৃষ্টি করছিলেন ধর্মান্তকরণ করে অভিযুক্তকে বিয়ে করার। বর্তমানে ওই অভিযুক্ত পলাতক। তাঁকে খোঁজার জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। নির্যাতিতাকেও মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।