আহমেদাবাদ: সাধারণ চাপাটি বা রুটির সঙ্গে তফাৎ আছে পরোটার। তাই পরোটাকে, চাপাটি বা রুটির মতো রেডি-টু-ইট বা তৈরি খাদ্যের বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। বৃহস্পতিবার, গুজরাট আপিল অথরিটি অব অ্যাডভান্স রুলিং-এর এই রায়কে বহাল রেখে বিচারক বিবেক রঞ্জন এবং মিলিন্দ তোরাওয়ানের দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, পরোটার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতেই হবে।
মামলার আবেদনকারীরা আট ধরনের পরোটা উৎপাদন করেন – মালাবার পরোটা, মিক্সড ভেজ পরোটা, পেঁয়াজ পরোটা, মেথি পরোটা, আলু পরোটা, লাচ্ছা পরোটা, মুলি পরোটা এবং প্লেন পরোটা। এই সকল প্রকার পরোটার প্রধান উপাদান হল আটা। এছাড়া লাগে আলু, শাকসবজি, মুলো, পেঁয়াজ, মেথি ইত্যাদি। তাদের সরবরাহ করা এবং প্যাক করা পরোটাগুলি সরাসরি একটি প্রি-হিটেড প্যানে রাখতে হয়, ৩-৪ মিনিটের জন্য মাঝারি আঁচে গরম করতে হয়। প্রতি ৩০ সেকেন্ড অন্তর অন্তর পরোটাগুলো উল্টোতে হয়। আবেদনকারী পক্ষ এই সমস্ত পরোটাকে তৈরি খাদ্যের বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করে, পরোটার উপর জিএসটির হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছিল।
গুজরাট অথরিটি অব অ্যাডভান্স রুলিং তাদের এই আবেদন মানেনি। জিএএআর জানায় হার্মোনাইজ়ড সিস্টেম নোমেনক্লেচারে রেডি-টু-ইট বা তৈরি খাবারের যে তালিকায় রয়েছে, পরোটা তার মধ্যে পড়ে না। পরোটাগুলিকে ৩ থেকে ৪ মিনিট রান্না করতে হয়। সেই অনুযায়ী ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতেই হবে।
গুজরাট অথরিটি অব অ্যাডভান্স রুলিং-এর এই রায় মানতে পারেনি আবেদনকারীরা। আবেদনকারীরা পাল্টা জানান, রেডি-টু-ইট খাদ্যের বিভাগে পিৎজা রুটি, রাস্ক এবং টোস্ট করা রুটিকেও রাখা হয়েছে। সেগুলির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। অথচ, পিৎজা রুটি, টোস্ট রুটি, খাওয়ার আগে গরম করতে হয়, রান্না করতে হয়। কাজেই রুটি-চাপাটির তালিকা শুধুমাত্র রেডি-টু-ইট বা তৈরি খাদ্যপণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। তাই তাদের তৈরি পরোটাগুলিকেও রুটি বা চাপাটির মতো বলেই ধরতে হবে এবং ৫ শতাংশ জিএসটি স্ল্যাবের আওতায় রাখতে হবে।
এএএআর অবশ্য জানিয়েছে, সাধারণ রুটি বা চাপাটি শুধুমাত্র গমের আটা এবং জল থেকেই তৈরি করা হয়। কিন্তু, বিভিন্ন ধরণের পরোটার উপাদান ভিন্ন ভিন্ন। আটা, জল ছাড়াও উদ্ভিজ্জ তেল, লবণ, আলু, শাকসবজি, মুলো, পেঁয়াজ, মেথি ইত্যাদি লাগে। অতএব, পরোটা এবং রুটি বা চাপাটি, উপাদান থেকে গঠন – বিভিন্ন দিক থেকেই একে অপরের থেকে ভিন্ন।