One Nation, One Election Bill: বিরোধিতার মাঝেই লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ বিল, এর পরের ধাপ কী?

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 17, 2024 | 3:07 PM

Parliament: গত বছর থেকেই চর্চায় ছিল 'এক দেশ, এক নির্বাচন'। সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরই জল্পনা ছিল কবে এই বিল সংসদে পেশ করা হবে। দীর্ঘ জল্পনা, টালবাহানার পর আজ, ১৭ ডিসেম্বর সংসদে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল পেশ হয়। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল এই বিল পেশ করেন।

One Nation, One Election Bill: বিরোধিতার মাঝেই লোকসভায় পেশ হল এক দেশ, এক নির্বাচন বিল, এর পরের ধাপ কী?
লোকসভায় পেশ হল এক দেশ. এক নির্বাচন।
Image Credit source: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: হাজারো বিতর্কের মাঝেই লোকসভায় পেশ হল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। এ দিন সংসদে সংবিধান (১২৯তম সংশোধন) বিল এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধন) বিল পেশ করা হয়। বিরোধীরা তীব্র প্রতিবাদ করে এই বিলের। অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানায়। জেপিসি-তে পাঠানো হবে এই বিল।

গত বছর থেকেই চর্চায় ছিল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’। সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপরই জল্পনা ছিল কবে এই বিল সংসদে পেশ করা হবে। দীর্ঘ জল্পনা, টালবাহানার পর আজ, ১৭ ডিসেম্বর সংসদে এক দেশ, এক নির্বাচন বিল পেশ হয়। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল এই বিল পেশ করেন। এই বিল পেশের সপক্ষে ২৬৯ সাংসদ ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট দেন ১৯৮ জন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান এই বিল আলোচনার জন্য সংসদীয় প্যানেলে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, “যখন এক দেশ, এক নির্বাচন বিল ক্যাবিনেটে পেশ করা হয়স তখন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে এটা সংসদীয় যুগ্ম কমিটিতে পাঠানো উচিত। প্রতিটি স্তরে এই বিল নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।”

শাসক শিবির এই বিলে সমর্থন জানালেও, বিরোধী দলগুলি তথা ইন্ডিয়া জোট এর তীব্র বিরোধিতা করে। তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি (শরদ পওয়ার)-র সুপ্রিয়া সুলে, কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি, ডিএমকে-র টিআর বালু  এই বিলের বিরুদ্ধে বলেন। কংগ্রেসের সাংসদ দাবি করেন, এক দেশ, এক নির্বাচনে সংবিধানের কাঠামোকেই চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ধর্মেন্দ্র যাদব বলেন, “এই বিল একনায়কতন্ত্র স্থাপন করছে”। পাল্টা জবাবে বিজেপির তরফে আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এক দেশ, এক নির্বাচনের বিরোধিতা করা হচ্ছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্যই এই বিল আনা হয়েছে। রাজ্যের ক্ষমতায় কোনও হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না।”

এবার এই বিল যুগ্ম সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে বিস্তারিত আলোচনার জন্য।

Next Article