নয়া দিল্লি: ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর চলবে সংসদের পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশন। এই অধিবেশন নিয়ে ইতিমধ্য়েই তীব্র রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, এক দেশ এক নির্বাচন, দেশের নমা বদলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আসতে পারে সরকারের পক্ষ থেকে। এরই মধ্যে আরও একটি বড় জল্পনা ছিল নতুন সংসদ ভবনকে ঘিরে। শোনা যাচ্ছিল, এই বিশেষ অধিবেশন শুরু হতে পারে পুরোনো ভবনে, আর শেষ হবে নতুন ভবনে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর), এক সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর, অর্থাৎ, বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনই নতুন সংসদ ভবনে স্থানান্তরিত হবে সভা। বাকি চারদিনের কাজ চলবে নতুন ভবনেই।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ১৯ সেপ্টেম্বর গণেশ চতুর্থী। ওই দিনটিই নয়া সংসদ ভবনে অধিবেশন স্থানান্তরের জন্য নির্ধারণ করেছে সরকার। মোদী সরকারের স্বপ্নের প্রকল্প এই নয়া সংসদ ভবন। চলতি বছরের ২৮মে ভবনটির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ৯৭১ কোটি ব্যয়ে এই নয়া ভবন তৈরি করা হয়েছে। নয়া ভবনে লোকসভায় ৮৮৮ জন এবং রাজ্যসভায় ৩০০ জন সাংসদ বসার বন্দোবস্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে আরও অনেক অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের পর, সংসদের বাদল অধিবেশন ছিল। আশা করা হয়েছিল, সেই অধিবেশন নতুন ভবনে হবে। কিন্তু, পুরো অধিবেশনই পুরনো ভবনেই অনুষ্ঠিত হয়। ফলে এই বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমেই নতুন সংসদ ভবন কাজ করা শুরু করবে।
এই বিশেষ অধিবেশনের কোনও অ্যাজেন্ডা দেয়নি সরকার। ফলে, ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে, সেই বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছে বিরোধী দলগুলি। অন্ধকারে সংবাদমাধ্যমও। এই পরিস্থিতিতে, এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের প্রধান সনিয়া গান্ধী। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, বিশেষ অধিবেশন নিয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। বিরোধীদের কোনও অ্যাজেন্ডা জানানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের পক্ষ থেকে ৯টি বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ অধিবেশনে এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছন সনিয়া।