AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Train Rules: ট্রেন থেকে চাদর-বালিশ চুরি করে উধাও! জেলেও যেতে হতে পারে, জানেন ঠিক কী শাস্তি

Train Rules: সাধারণত কোনও ট্রেনের এসি কামরায় যাত্রা করলে এই বেডরোল দেওয়া হয়। তার মধ্যে থাকে চাদর, কম্বল ও বালিশ। সেগুলি ব্যবহার করার পর নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেওয়াই একজন যাত্রীর কর্তব্য। প্রশ্ন হল, গুলি চুরি করলে আদৌ কোনও শাস্তি হয় কি না।

Train Rules: ট্রেন থেকে চাদর-বালিশ চুরি করে উধাও! জেলেও যেতে হতে পারে, জানেন ঠিক কী শাস্তি
ট্রেনের নিয়মImage Credit: PTI
| Updated on: Jan 25, 2025 | 9:11 AM
Share

নয়া দিল্লি: শুধু বাড়ি নয়, চুরি হয় ট্রেনেও। তাও আবার রেলের জিনিস। এসি কামরায় দেওয়া বালিশ, কম্বল বা চাদর ব্যাগে ঢুকে বেপাত্তা হয়ে যান কেউ কেউ। এগুলো নেহাত অভিযোগ নয়, রেলের দেওয়া তথ্যই বলছে সে কথা। হাজার হাজার বালিশ-কম্বর চুরি যায় ট্রেন থেকে। তবে ট্রেনে চুরি করলে রয়েছে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা। অনেকেই জানেন না রেলের বেডরোল চুরি করলে হতে পারে জেলও।

২০১৭-১৮ সালের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পশ্চিম রেল (Western Railway) থেকে ১.৯৫ লক্ষ তোয়ালে, ৮১,৭৩৬টি বিছানার চাদর, ৫০৩৮টি বালিশ, ৫৫,৫৭৩টি বালিশের কভার ও ৭০৪৩টি কম্বল চুরি হয়েছে। একইভাবে, এমন বিপুল চুরির অভিযোগ উঠেছে মধ্য রেলেও (Central Railway)। রেলে কর্মরত কর্মীদেরই এই দায়ভার গ্রহণ করতে হয়। তাঁদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া হতে পারে টাকা। ১০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়।

সাধারণত কোনও ট্রেনের এসি কামরায় যাত্রা করলে এই বেডরোল দেওয়া হয়। তার মধ্যে থাকে চাদর, কম্বল ও বালিশ। সেগুলি ব্যবহার করার পর নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দেওয়াই একজন যাত্রীর কর্তব্য। প্রশ্ন হল, গুলি চুরি করলে আদৌ কোনও শাস্তি হয় কি না।

রেলের নিয়ম অনুযায়ী, যে যাত্রী বেডরোল নেবেন, তাঁকেই দায়ভার নিতে হবে। জরিমানা এবং জেল উভয় শাস্তির বিধানই রয়েছে। রেলওয়ে সম্পত্তি আইন ১৯৬৬ অনুসারে, যাত্রা শেষ হওয়ার পর যাত্রীকে বিনামূল্যে দেওয়া কম্বল, বিছানার চাদর এবং বালিশ হস্তান্তর করা যাত্রীর দায়িত্ব। সেগুলি চুরি হলে যাত্রীকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হতে পারে। আইন অনুযায়ী, প্রথমবার এমন অপরাধ করলে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। অভিযোগ গুরুতর হলে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে, ধার্য হতে পারে মোটা টাকা জরিমানা। তাই ব্যবহারের পরে বেডরোল হস্তান্তর করাই উচিত।