পটনা: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে চায় বিরোধীরা। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার পটনায় বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী দলের নেতারা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, নীতীশ কুমার, লালু প্রসাদ যাদব উপস্থিত ছিলেন সেই বৈঠকে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। বৈঠক শেষে বিরোধী নেতাদের মুখে শোনা গিয়েছে এক জোট হয়ে লড়াই করার কথা। কিন্তু এই বৈঠকের মধ্যেই কেন্দ্রের অধ্যাদেশ ইস্যুতে জোটের তালে ছন্দপতন ঘটে। পটনার বিরোধী বৈঠকে আপ-কংগ্রেস তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়। তা থামাতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন বলে সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে।
পটনায় বিরোধী বৈঠকের মধ্যেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, “কেন এখনও অধ্যাদেশ ইস্যুতে আপনাদের অবস্থান জানাচ্ছেন না?” এর জবাবে খাড়্গে বলেন, “আমাদের অনেক বড় দল। আমরা বিজেপির যে কোনও অনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি। কিন্তু আমাদের রাজ্যসভা সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে। এ ভাবে এখনই এ নিয়ে কংগ্রেস কথা বলতে পারে না।” সংসদ অধিবেশন শুরু হলেই এ নিয়ে দল সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। পটনায় অন্য বিষয়ে আলোচনার জন্য সবাই একত্রিত হয়েছে বলেও কেজরীবালকে স্মরণ করান তিনি। কেজরীবাল যুক্তি দেন, “বিজেপিকে রুখতে গেলে সংসদে তাঁদের আনা বিলকে প্রতিহত করা প্রয়োজন৷ আপনারা কী তা চান না?” পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মানও বিষয়টি নিয়ে সরব হন। খাড়্গে পাল্টা জানান, “দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থবিরোধী কোনও কাজ করবে না কংগ্রেস৷ আমাদের দলের ঐতিহ্য তা প্রমাণ করে৷”
সূত্রের দাবি, দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিবাদ থামাতে হস্তক্ষেপ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনিই পরামর্শ দেন, বিবাদমান শিবির আলাদা করে আলোচনার টেবিলে বসলে সমস্যা মিটতে পারে৷ অরবিন্দ কেজরীবালকেও একই পরামর্শ দেন মমতা। এমনকি ওই ঘরেই রাহুল গান্ধী ও খাড়্গের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন তিনি। কেজরীবালকেও বোঝান মমতা। মমতার হস্তক্ষেপেই ঝড়গা থামে। কিন্তু তা সত্ত্বেও বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে গরহাজির ছিলেন কেজরীবাল।