অনুমোদনহীন টিকাকেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত না করেই চলছে টিকাকরণ, দ্রুত তদন্তের নির্দেশ

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

May 13, 2021 | 1:47 PM

বেশ কয়েকদিন আগেই কাচার জেলা প্রশাসনের তরফে হাসপাতালের টিকাকরণ কেন্দ্র কাছেরই একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সকলের চোখে ধুলো দিয়ে ওই কেন্দ্রেও চলছিল টিকাকরণ। এই কাজের সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিকও জড়িত ছিলেন।

অনুমোদনহীন টিকাকেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত না করেই চলছে টিকাকরণ, দ্রুত তদন্তের নির্দেশ
টিকাকেন্দ্রে লম্বা লাইন। ফাইল চিত্র। PTI

Follow Us

গুয়াহাটি: কেন্দ্রের নির্দেশিকা মেনে নয়, দীর্ঘদিন ধরেই টিকাকরণ চলছে বয়সবিধি ভেঙে। তাও আবার অনুমোদনহীন টিকাকরণ কেন্দ্রে। সংবাদমাধ্যমের এই রিপোর্ট পেতেই এ বার তদন্তের নির্দেশ দিল অসমের কাচার জেলা প্রশাসন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত টিকাকেন্দ্রের তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য দফতরের কয়েকজন আধিকারিকদের সহায়তাতেই ওই কেন্দ্রে টিকাকরণ চলছিল। বুধবারও প্রায় ৮০ জন ব্যক্তি সরকারি কো-উইন অ্যাপে নিজেদের নাম রেজিস্টার না করেই টিকা নেন।

উল্লেখ্য, সরকারের তরফে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণের শুরুতে স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করলেও বর্তমানে টিকা ঘাটতি দেখা দেওয়ায় তা বন্ধ রাখা হয়েছে। একমাত্র কো-উইন অ্যাপে নিজের নাম রেজিস্টার করলেই টিকা পাওয়া যাবে। কিন্তু এক্ষেত্রে নাম নথিভুক্তকরণ তো দূরের কথা, টিকাকেন্দ্রেরই সরকারি নথিতে কোনও উল্লেখ নেই।

জানা গিয়েছে, শিলচর সিভিল হাসপাতাল চত্বরেই এই বেআইনি টিকাকরণ কেন্দ্রটি অবস্থিত। বেশ কয়েকদিন আগেই কাচার জেলা প্রশাসনের তরফে হাসপাতালের টিকাকরণ কেন্দ্র কাছেরই একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সকলের চোখে ধুলো দিয়ে ওই কেন্দ্রেও চলছিল টিকাকরণ। এই কাজের সঙ্গে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিকও জড়িত ছিলেন।

এই বিষয়ে অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (স্বাস্থ্য) সুমিত সত্ত্ববান বলেন, “জেলার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক ও স্বাস্থ্য অফিসার ডঃ পি কে রায়কে গোটা বিষয়ের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুতর একটি বিষয় ও তদন্তের পর যথাযথ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: ভারতে ধর্মীয় -রাজনৈতিক সমাবেশকেই করোনা বৃদ্ধির জন্য দুষল হু

Next Article