নয়া দিল্লি: করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়েই তছনছ হচ্ছে গোটা দেশ। হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। বাড়ছে দৈনিক মৃত্যু। লাগাম পরাতে নাজেহাল সকলে। এরইমধ্যে অবশ্যম্ভাবী তৃতীয় ঢেউয়ের বার্তা হাজির। কতটা ভয়াল আকার নেবে সেই পরিস্থিতি, কাদের বিপদ বাড়বে, কী ভাবে মিলবে পরিত্রাণ, দুশ্চিন্তার কাঁটা সব নিয়েই।
ইতিমধ্যেই চার লক্ষ পেরনো দৈনিক সংক্রমণ আর চার হাজারি মৃত্যু সংখ্যা সামাল দিতে বিপর্যস্ত দেশ। তার মধ্যেই নতুন করে আতঙ্ক তৃতীয় ঢেউয়ের আগমনবার্তায়। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা শোনা গিয়েছিল।
এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভাইরাসের ভোলবদল জারি থাকলে রোখা যাবে না তৃতীয় ঢেউ। একই দাবি কেন্দ্রের স্বাস্থ্য উপদেষ্টারও। বুধবার কে বিজয় রাঘবনও জানিয়ে দিয়েছেন, তৃতীয় ঢেউ অবশ্যম্ভাবী। আর সবথেকে চিন্তার কথা হল, এই তৃতীয় ঢেউ চরম বিপদে নিয়ে ফেলবে শিশুদের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হবে।
* মিউটেশন হাতিয়ার করেই আসছে নতুন ঢেউ
* টিকা বা মানব শরীরে ইমিউনিটির চাপেই ফের বদলাতে পারে ভাইরাসের চরিত্র
* ভোল বদলে আরও মারাত্মক হতে পারে নয়া স্ট্রেন
* বাচ্চাদের বাড়তি বিপদের আশঙ্কা তৃতীয় ঢেউয়ে
* এখনকার ভ্যাকসিনে কাজ না হওয়ার আশঙ্কা
* কোন সময়ে আছড়ে পড়বে তৃতীয় ঢেউ, তা এখনও স্পষ্ট নয়
বেলাগাম দ্বিতীয় ঢেউয়েই ছারখার দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। প্রবল অক্সিজেন সঙ্কট, কোভিড-বেডের আকাল, হাজারে হাজারে মৃত্যুতে মর্গ-শ্মশানেও জায়গা অকুলান। আগে ভাগে তৃতীয় ঢেউ সামলাতে বৃহস্পতিবার বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বাচ্চাদের বিপদের আশঙ্কায় আগেই তাদের টিকাকরণ, বাড়তি চাহিদা মতো অক্সিজেন তৈরি করতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ব্যবস্থা করা, গোটা দেশে সুষ্ঠু অক্সিজেন সরবরাহ, হাসপাতালগুলিতে সবরকম পরিষেবা তৈরি রাখায় জোর দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: জেলাগুলির সংক্রমণ, ওষুধ-টিকার বর্তমান পরিস্থিতি; পর্যালোচনায় মোদী
তবে চিকিৎসকমহল বারবারই বলছে, ভয় নয়, সচেতন হোন। মাস্ক, স্যানিটাইজারই এখন যথেষ্ট নয়। সামাজিক দূরত্ব বিধি অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। সবরকম ভিড় এড়িয়ে চলুন। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বেরোবেন না। বিশেষ করে ঘরে বাচ্চা-বয়স্ক লোকজন থাকলে যতটা সম্ভব নিজেদের ঘরবন্দি করে রাখুন। বিপদ রুখতে সংযত থাকাই সব থেকে বড় হাতিয়ার।