PM Gati Shakti: নতুন এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিমানবন্দর, ১১ বছরে দেশের গতি বাড়াল পিএম গতিশক্তি
PM Gati Shakti: বর্তমানে ৩৩৩টি জেলার উপর দিয়ে ছুটছে ৬৮টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৫ হাজার কিলোমিটার ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে ট্রেনে কবচ সিস্টেম লাগানো হয়েছে।

নয়া দিল্লি: বিগত এক দশকে বদলে গিয়েছে দেশের গতি। পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে দেশে। একাধিক নীতি পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থাকেই মজবুত করেছে, তা নয়, একই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও হয়েছে।
সড়কপথের উন্নতির ফলে লজিস্টিক খরচ কমেছে, বেড়েছে সার্ভিস ডেলিভারি। প্রগতি, পিএম গতিশক্তি, ভারতমালা, সাগরমালা, উড়ানের মতো একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা উন্নতির জন্য। হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ের রেকর্ড বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ের ইলেকট্রিফিকেশন, গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট, রোপওয়ের মতো পরিষেবা ব্যবস্থাও চালু হয়েছে। এই সবই হচ্ছে ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত তৈরির লক্ষ্যে।
সম্প্রতিই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৮টি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো প্রকল্পের রিভিউ করেছেন, যার খরচ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত প্রগতি উদ্য়োহের অধীনে ৩৬৩টি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলির সরাসরি নজরদারি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর উদ্বোধন করা হয় পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান। এই উদ্যোগের লক্ষ্যই ছিল দেশজুড়ে পরিকাঠামোর উন্নয়ন। ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে রেলওয়ে, সড়ক, বন্দর, জলবন্দর বিমানবন্দরস গণপরিবহন ও পরিকাঠামোর উন্নয়নে।
এই প্রকল্পে রিয়েল টাইম প্রজেক্ট ম্যাপিং ব্যবহার করা হয়েছে। মোট ১৬১৪ ডেটা লেয়ার ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে। ২০৮ টিরও বেশি পরিকাঠামো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে পিএম গতিশক্তির অধীনে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য একটাই, আত্মনির্ভর ভারত।
৪৪টি মন্ত্রক ও ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে জিআইএস বেসড প্ল্যাটফর্মের অধীনে আনা হয়েছে পিএম গতিশক্তিতে। ন্যাশনাল হাইওয়ে বা জাতীয় সড়কের ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। হাইওয়েতে নির্মাণের গতি ২০১৪ সালে যেখানে প্রতিদিন ১১.৬ কিলোমিটার ছিল, সেখানেই বর্তমানে তা প্রতিদিন ৩৪ কিলোমিটারে পৌঁছেছে।
বর্তমানে ৩৩৩টি জেলার উপর দিয়ে ছুটছে ৬৮টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৫ হাজার কিলোমিটার ইলেকট্রিফিকেশনের কাজ হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলিতে ট্রেনে কবচ সিস্টেম লাগানো হয়েছে।
উড়ান প্রকল্পের অধীনে ৮৮টি এয়ারপোর্ট চালু হয়েছে। দেড় কোটিরও বেশি যাত্রী আঞ্চলিক বিমানে সফর করেছেন। ২৪টি এয়ারপোর্ট ডিজিযাত্রা চালু করা হয়েছে। বন্দরগুলির ধারণ ক্ষমতাও দ্বিগুণ হয়েছে। দেশের অন্দরে কার্গো চলাচল ৭১০ শতাংশ বেড়েছে।





