নয়া দিল্লি: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার টিকা নীতি বদলাল কেন্দ্র। ৭ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সাফ জানিয়ে দিলেন, রাজ্যকে কোনও টিকা কিনতে হবে না। টিকা কিনে রাজ্যের হাতে তুলে দেবে কেন্দ্র। অর্থাৎ পয়লা মের আগে যেভাবে টিকাকরণ হচ্ছিল, সেই নীতিতে ফিরে গেল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, নীতি বদলানোর এই সিদ্ধান্ত জুন মাসের ১ তারিখেই নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের টিকাকরণ নীতি বদলানোর পর বারবার সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র একই দেশে রাজ্য ও কেন্দ্রের জন্য টিকার ভিন্ন দাম? এই ধরনের প্রশ্ন বিড়ম্বনায় ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। তাই ১ জুনই দেশের পরিবর্তিত টিকা নীতিতে সায় দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে।
৩১ মে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এলএন রাও ও বিচারপতি রবীন্দ্র ভটের বেঞ্চ প্রশ্ন করেছিল, দ্বিতীয় ঢেউয়ে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরা বেশি প্রাণ হারাচ্ছেন। তাহলে কেন্দ্র কেন শুধু ৪৫ ঊর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে? স্বতপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের টিকা নীতির সমালোচনায় সরব হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ও একাধিক হাইকোর্টের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রের ওপর। তাই নিয়ম বদলে ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেককে বিনামূল্যে টিকা দিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের টিকা নীতি প্রসঙ্গে সোমবার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একাধিক রাজ্যের উৎসাহ, আগ্রহ ও দাবি মেনে নিয়ে ২৫ শতাংশ টিকাকরণের দায়িত্ব তাদের হাতে ছাড়া হয়েছিল।” কিন্তু একাধিক রাজ্য এই পদ্ধতিতে কাজ করতে পারছে না। তাই কেন্দ্র সেই ২৫ শতাংশ টিকাকরণেও দায়িত্ব নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, নিজেদের ইচ্ছেতেই রাজ্যগুলি টিকাকরণের দায়িত্ব নিয়েছিল, সে পথে কাজ না হওয়ায় ফের কেন্দ্র সেই দায়িত্ব হাতে তুলে নিল।
আরও পড়ুন: বিদেশে যেতে লাগবে কোভিশিল্ড, বকলমে ভ্যাকসিন পাসপোর্টেই কেন্দ্র