নয়া দিল্লি: দিন কয়েক আগেই বিজেপির দীপাবলি মিলন উৎসবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে তৈরি ডিপফেক ভিডিয়ো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার (২২ নভেম্বর), জি২০ দেশগুলির ভার্চুয়াল শীর্ষ বৈঠকেও একই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যেভাবে বিদ্যুত গতিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন ঘটছে, সেই দিকে জি২০ দেশগুলিকে সঠিক নজর দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী। যৌথভাবে এই সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। জি২০ ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে তিনি জানান, মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা উচিত। তিনি বলেন, “এআই-কে সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তবে, এই প্রযুক্তিকে অবশ্যই তার আগে সমাজের জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ডিপফেক বর্তমানে একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এআই, জনসাধারণের জন্য নিরাপদ হওয়া উচিত।”
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ডিপফেক ভিডিয়োর শিকার হয়েছেন। বিজেপির দীপাবলি মিলন উৎসবে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছিলেন, তাঁরও একটি ডিপফেক ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে, যেখানে তাঁকে গরবা নাচ করতে দেখা গিয়েছে। তবে, পরে জানা যায়, ওই ভিডিয়োটি ডিপফেক নয়। নরেন্দ্র মোদীর মতো দেখতে এক ব্যক্তি ওই নাচ করেছিলেন। তবে, অপরাধীদের হাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির অপব্যবহার হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তথ্য় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাই। ক্রমাগত প্রতিটি সেক্টরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ক্রমে বাড়ছে।
এদিন ভার্চুয়াল জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডিপফেক ভিডিয়ো নিয় উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন ভারতের সভাপতিত্বের আওতায়, এই গোষ্ঠীতে আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রবেশ-সহ, এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন সাফল্যগুলি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারতের সভাপতিত্বেই সমস্ত জি২০ দেশগুলি আফ্রিকার সমস্যাগুলিকে তুলে ধরার জন্য তাদের একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার বিষয়ে সহমত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আজকের বিশ্ব চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। এই সময় পারস্পরিক বিশ্বাসই আমাদের ঐক্যবদ্ধ করবে। পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমেই আমরা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে পারব।”
তাঁর বক্তৃতায় ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রসঙ্গও টানেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির জন্য সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “জি২০ গোষ্ঠীর কাছে যে কোনও ধরণের সন্ত্রাসবাদ অগ্রহণযোগ্য।” যুদ্ধবন্দিরা শীগগিরই নিরাপদে মুক্তি পাবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।