বারাণসী: সংসদে পেশ করা হয়েছে নারীশক্তি বন্ধন অধিনিয়ম। লোকসভায় ইতিমধ্য়েই এই বিল পাশ হয়েছে, রাজ্যসভাও দ্রুতই এই বিল পাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সংসদে এই বিল পেশ করার পর, এবার বারাণসীতে শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে একটি জনসভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর), এই সবা হবে। শনিবার বারণসীতে প্রধানমন্ত্রীর সফর পূর্বনির্ধারিতই ছিল। একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন-সহ বেশ কিছু কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা তাঁর। বৃহস্পতিবার, সেই কর্মসূচির সঙ্গেই মহিলাদের নিয়ে পৃথক সভা করার কর্মসূচি যুক্ত করা হয়েছে। আর এই নয়া কর্মসূচির খবর আসতেই, যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং ভারতীয় জনতা পার্টির স্থানীয় কার্যকর্তারা।
বারাণসী, প্রধানমন্ত্রীর নিজের সংসদীয় কেন্দ্র। শনিবার ৭ ঘণ্টার জন্য বারাণসী সফরে আসার কথা তাঁর। ডিভিশনাল কমিশনার কৌশল রাজ শর্মা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল, গঞ্জরিতে একটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সঙ্গে রুদ্রাক্ষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে, কাশি সংসদ সাংস্কৃতিক মহোৎসবের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করবেন এবং উত্তর প্রদেশের অটল আবাসিক বিদ্যালয়ের উদ্বোধন করবেন। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিলিতও হবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর একটি জনসভা করার কথা ছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার এই ঠাসা কর্মসূচির সঙ্গেই আরও এক কর্মসূচি যোগ করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে ওই জনসভার পর, সম্পূর্ণানন্দ সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে যাবেন। সেখানেই শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে আরও একটি সভা করবেন তিনি।
এই সভায় অংশ নেবেন শুধুমাত্র মহিলারাই। পুরুষদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে না। সভামঞ্চে থাকবেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশের পর, এই প্রথম মহিলাদের নিয়ে এই ধরনের একটি সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার, লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয়টিকে বিজেপি রাজনীতির বিষয় হিসেবে দেখে না। তবে, বিরোধী দল এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মহিলা ভোটারদের কথা মাথায় রেখেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগ দিয়ে এই বিল আনল মোদী সরকার।
বস্তুত, গত কয়েক বছর ধরে ভারতে ভোটদানের প্রবণতায় বড় পরিবর্তন ধরা পড়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, পুরুষ ভোটারদের থেকে মহিলাদের ভোটদানের হার সামান্য হলেও বেশি ছিল। নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপির বিপুল জয়ের পিছনে এই মহিলা ভোটারদের বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়। খোদ নরেন্দ্র মোদী, মহিলা ভোটারদের ‘নীরব ভোটার’ বলে উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, দেশের মা-বোনেরা তাঁকে দুহাত ভরে আশীর্বাদ করেছেন। এবার, এই নীরব ভোটারদের ভোট যাতে আরও বেশি মাত্রায় গেরুয়া শিবিরে আসে, সেটাই পাখির চোখ করেছে বিজেপি।