Mann Ki Baat: ‘গণতন্ত্রের জননী ভারত’, বছরের প্রথম ‘মন কি বাতে’ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লড়াই তুলে ধরলেন নমো

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Jan 29, 2023 | 11:58 AM

PM Narendra Modi: ৯৭ তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান শুরু করেন এ বছরের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে।

Mann Ki Baat:  গণতন্ত্রের জননী ভারত, বছরের প্রথম মন কি বাতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের লড়াই তুলে ধরলেন নমো
ছবি সৌজন্যে: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: বছরের প্রথম ‘মন কি বাত’ (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান আজ। প্রত্যেক মাসেরই শেষ রবিবারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)-র এই রেডিয়ো অনুষ্ঠান হয়। আজ, নতুন বছরের প্রথম মন কি বাত অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হল। ৯৭ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শুরু করেন এ বছরের পদ্ম পুরস্কার প্রাপকদের অভিনন্দন জানিয়ে। প্রজাতন্ত্র দিবসেরও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যেক বছরই জানুয়ারি মাস নানা অনুষ্ঠানে পরিপূর্ণ থাকে।”

  1. রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এবারের পদ্ম পুরস্কার দেশের সেই কোণাগুলিতেও পৌঁছে গিয়েছে, যা অতীতে নকশাল অধ্য়ুষিত ছিল। নকশাল অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে যুব প্রজন্মকে যারা সঠিক পথ দেখিয়ে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়েছেন, তাদের পদ্ম পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।”
  2.  প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “এবারের পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে তাদেরও, যারা প্রাচীন, ঐতিহ্যশালী বাদ্য়, যেমন সন্তুর, বামহুম, দোতারা বাজিয়ে সুর ছড়িয়ে দিয়েছেন।”
  3. বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব যারা বিভিন্ন আদিবাসী ভাষা যেমন টোটো, হো, কুই, কুভি ও মান্দার মতো ভাষা নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন, তাদেরও পদ্ম সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। এটা আমাদের সকলের কাছে গর্বের বিষয়। সিদ্ধি, জারোয়া ও ওঙ্গে  উপজাতিদের নিয়ে যারা কাজ করেছেন, তাদেরও এবার পুরস্কিত করা হয়েছে।
  4. এবারের পদ্ম সম্মানের একটি বড় অংশ পেয়েছেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ ও তাদের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা। শহুরে জীবনের থেকে অনেকটাই আলাদা আদিবাসী জীবন। তাদের নিজস্ব কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তারা নিজেদের সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য লড়াই করছেন।
  5. প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের রক্তে, সংস্কৃতিতে মিশে রয়েছে গণতন্ত্র। বহু শতাব্ধী ধরেই এটি আমাদের জীবনের, সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসানে রয়েছে। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে থাকি। আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, গণতন্ত্রের জননী ভারত।”
  6. মিলেটের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালকে মিলেটের আন্তর্জাতিক বর্ষ হিসাবে গণ্য করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ মিলেট দিয়ে নানা খাবার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
  7. প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আগামিদিনে নতুন বিপ্লব আসতে চলেছে। সাধারণ মানুষ যেভাবে বিশাল হারে যোগাসন ও শরীরচর্চায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করে যোগাসনকে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দিয়েছে, একইভাবে মিলেটকেও ব্যাপক হারে গ্রহণ করে তা জনপ্রিয় করে তোলা হবে।”
  8. ভারতের প্রস্তাবেই রাষ্ট্রপুঞ্জ আন্তর্জাতিক যোগাসন দিবস ও আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষের ঘোষণা করেছে। যোগাসন যেমন স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, একইভাবে মিলেটও স্বাস্থ্যরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

Next Article