নয়া দিল্লি: রাজ্যের পর এগিয়ে এল কেন্দ্রও। জল্পেশ্বর মন্দিরে জল ঢালতে যাওয়ার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১০ জন পুণ্যার্থীর। রাজ্যের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পর, এবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও ২ লক্ষ টাকা করে এক্স গ্রাসিয়া দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। এদিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার পাশাপাশি আহতদের প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয় থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের শীতলকুচিতে একটি ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় আমি ব্যথিত। শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। পিএমএনআরএফ থেকে মৃতদের নিকটাত্মীয়দের ২ লক্ষ টাকা করে এক্স-গ্রাশিয়া দেওয়া হবে। আর আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।”
গত রবিবার, গভীর রাতে শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার উপলক্ষে ভগবান শিবের মাথায় জল ঢালতে কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে জল্পেশ্বর মন্দিরে যাচ্ছিলেন ২৫ জন পুর্ণ্যার্থীর একটি দল। গাড়ির ভিতর জেনারেটরের সাহায্যে ডিজে বাজান হচ্ছিল। বৃষ্টির রাতে ওই জেনারেটরে শর্ট সার্কিট হয়। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের।
মঙ্গলবারই কোচবিহারের শীতলকুচিতে গিয়ে এই ঘটনায় মৃত ১০ জনের পরিবারবর্গের হাতে দুই লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এদিন সকালে শীতলকুচি বিডিও অফিসে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ওই ১০ হতভাগ্য পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন মন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ বর্মণ, কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ প্রমুখ।
অরূপ বিশ্বাস বলেন, “সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। সোমবার সকালে ঘটনার কথা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী আমাকে অবিলম্বে এখানে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নিহতদের পরিবারের হাতে দু লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। সন্তান হারানোর ব্যথা অবশ্য কোনওভাবেই পূরণ করা যায় না। তবে, রাজ্য সরকার সব সময় পরিবারগুলির পাশে রয়েছে।”