নয়া দিল্লি : পরিস্থিতি সবে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছিল। করোনা কাঁটায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুলগুলি আবার খুলতে শুরু করেছিল। স্বাভাবিক হচ্ছিল জনজীবন। আর এরই মধ্যে ফের নতুন উদ্বেগ। করোনার আরও এক নতুন স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে, ওমিক্রন (Omicron)। চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে করোনার এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের (COVID 19 New variant)। এই স্ট্রেন এখনও পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া করোনা স্ট্রেনগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রামক। দেরি না করে আজই শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে এবং বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করার যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলিকে পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে যে দেশগুলিকে ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করানোর ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে টিকাকরণের গতি এবং ‘হর ঘর দস্তক’ প্রকল্পের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ়ের কভারেজ আরও বাড়ানো দরকার। কেউ যাতে বাদ না যান, সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকেও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যারা প্রথম ডোজ় পেয়েছেন, তাঁদের সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কি না। তিনি রাজ্য এবং জেলা পর্যায়ে যথাযথ সচেতনতা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
Reviewed the COVID-19 and vaccination related situation. In light of the new variant, we remain vigilant, with a focus on containment and ensuring increased second dose coverage. Would urge people to continue following social distancing and wear masks. https://t.co/ySXtQsPCag
— Narendra Modi (@narendramodi) November 27, 2021
এর পাশাপাশি বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত স্য়ানিটাইজ় করা এবং শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা সহ যাবতীয় কোভিড সুরক্ষা বিধি মেনে চলা এইসময় ভীষণভাবে দরকার বলে মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে ওই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকালই বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্তের কথা। বলা হয়েছিল, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক বিমান চালু হয়ে যাবে। আর ঠিক তার পরের দিনই নরেন্দ্র মোদীর এই পর্যালোচনা বৈঠক। ফলত, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা এখনই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে দেশগুলিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে বর্তমান ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির আওতাতেই সাপ্তাহিক বিমান পরিষেবা চালু থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, ইজরায়েল এবং হংকংকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বিমানই যাতায়াত করতে পারবে এই দেশগুলিতে।
কিছু সময় অন্তরই সামনে আসছে নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্ট। চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে করোনার এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হল ওমিক্রন। একইসঙ্গে এই ভ্য়ারিয়েন্টটিকে “উদ্বেগের কারণ” বলেও ঘোষণা করা হল।
গত ২৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার প্রথম এই ভ্য়ারিয়েন্টের বিষয়টা সামনে আসে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ড. টম পিকক, করোনার এই নয়া রূপ নিয়ে একটি টুইট করেন। তিনি উল্লেখ করেন নয়া ওই ভ্য়ারিয়েন্টের অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি।
দেখুন ভিডিয়ো:
নয়া দিল্লি : পরিস্থিতি সবে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছিল। করোনা কাঁটায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুলগুলি আবার খুলতে শুরু করেছিল। স্বাভাবিক হচ্ছিল জনজীবন। আর এরই মধ্যে ফের নতুন উদ্বেগ। করোনার আরও এক নতুন স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে, ওমিক্রন (Omicron)। চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে করোনার এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের (COVID 19 New variant)। এই স্ট্রেন এখনও পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া করোনা স্ট্রেনগুলির মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রামক। দেরি না করে আজই শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে এবং বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শিথিল করার যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলিকে পুনরায় পর্যালোচনা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে সজাগ থাকার প্রয়োজন আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে যে দেশগুলিকে ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই দেশগুলি থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা করানোর ক্ষেত্রে আরও জোর দিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে আধিকারিকরা প্রধানমন্ত্রীকে টিকাকরণের গতি এবং ‘হর ঘর দস্তক’ প্রকল্পের সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ়ের কভারেজ আরও বাড়ানো দরকার। কেউ যাতে বাদ না যান, সেই বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি রাজ্যগুলিকেও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যারা প্রথম ডোজ় পেয়েছেন, তাঁদের সময়মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কি না। তিনি রাজ্য এবং জেলা পর্যায়ে যথাযথ সচেতনতা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
Reviewed the COVID-19 and vaccination related situation. In light of the new variant, we remain vigilant, with a focus on containment and ensuring increased second dose coverage. Would urge people to continue following social distancing and wear masks. https://t.co/ySXtQsPCag
— Narendra Modi (@narendramodi) November 27, 2021
এর পাশাপাশি বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত স্য়ানিটাইজ় করা এবং শারীরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা সহ যাবতীয় কোভিড সুরক্ষা বিধি মেনে চলা এইসময় ভীষণভাবে দরকার বলে মনে করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে ওই পর্যালোচনা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সচিব, স্বাস্থ্য সচিব এবং কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। একটি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছেন।
উল্লেখ্য, গতকালই বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্তের কথা। বলা হয়েছিল, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক বিমান চালু হয়ে যাবে। আর ঠিক তার পরের দিনই নরেন্দ্র মোদীর এই পর্যালোচনা বৈঠক। ফলত, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা এখনই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে না বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে যে দেশগুলিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে বর্তমান ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির আওতাতেই সাপ্তাহিক বিমান পরিষেবা চালু থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, ইজরায়েল এবং হংকংকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ তালিকাভুক্ত করেছে ভারত। ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিকের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বিমানই যাতায়াত করতে পারবে এই দেশগুলিতে।
কিছু সময় অন্তরই সামনে আসছে নিত্যনতুন ভ্যারিয়েন্ট। চলতি সপ্তাহেই দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলে করোনার এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই ভ্যারিয়েন্টের নাম দেওয়া হল ওমিক্রন। একইসঙ্গে এই ভ্য়ারিয়েন্টটিকে “উদ্বেগের কারণ” বলেও ঘোষণা করা হল।
গত ২৩ নভেম্বর, মঙ্গলবার প্রথম এই ভ্য়ারিয়েন্টের বিষয়টা সামনে আসে। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ভাইরোলজিস্ট ড. টম পিকক, করোনার এই নয়া রূপ নিয়ে একটি টুইট করেন। তিনি উল্লেখ করেন নয়া ওই ভ্য়ারিয়েন্টের অভিযোজন ক্ষমতা অনেক বেশি।
দেখুন ভিডিয়ো: