নয়া দিল্লি: ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি ও সেদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত ভারত। রবিবার রাতেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই বৈঠকে জোর দিয়েছিলেন ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার উপরই। রাত পার হতেই ফের একবার বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে থাকা ভারতীয়দের সুরক্ষিতভাবে উদ্ধারের (Evacuation) জন্য ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও পাঠানো হতে পারে। এই মন্ত্রীদের তালিকায় থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ান মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) ও কিরণ রিজিজু (Kiran Rijiju)। তারা ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশ রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডে যেতে পারেন।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতের বৈঠকের পরও এদিন সকালে ফের একবার ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকেও রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকার্য নিয়েই কথা বলেন তিনি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী যে সমস্ত দেশের মাধ্যমে ‘অপারেশন গঙ্গা’ চালানো হচ্ছে, সেই দেশগুলিতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসাবে মন্ত্রীদের পাঠানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই যে মন্ত্রীদের নাম সামনে এসেছে, তারা হলেন কেন্দ্রীয় অসামরিক উড়ানমন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, প্রাক্তন উড়ানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী, কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী কিরণ রিজিজু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিকে সিং।
ইউক্রেনের উপরে সামরিক অভিযান শুরু করার পরই বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ইউক্রেনে প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় আটকে পড়েছেন। এদের মধ্যে ১৬ হাজারই পড়ুয়া। তাদের দ্রুত উদ্ধার করে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারই এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা দিলেও, রাশিয়ার লাগাতার বোমাবর্ষণের কারণে ইউক্রেন তাদের এয়ারস্পেস বন্ধ করে দেয় এবং অসামরিক উড়ান চলাচল ব্যবস্থাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানটিও ফিরে আসে। পরে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জরুরি বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে উদ্ধারকার্য চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আপাতত রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাক রিপাবলিক ও পোল্যান্ড থেকে বিশেষ বিমানে করে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করে আনা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই পাঁচটি বিশেষ বিমানে কয়েক হাজার ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রবিবারই ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানানো হয়, যুদ্ধ পরিস্থিতি কিছুটা ঠাণ্ডা হলে সংঘর্ষস্থলগুলি এড়িয়ে, ওই অঞ্চলগুলি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। কার্ফু ওঠার পরই যেন ভারতীয় নাগরিকরা শহর ছেড়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন, সেই কথা বলা হয়।