PM Modi on Dynasty Politics: “একই পরিবারের দু’জন নেতা মানেই পারিবারিক দল নয়”, পরিবার তন্ত্রের ব্যাখ্যা দিলেন মোদী

Constitution Day : সরাসরি কারও নাম না করে মোদী বলেন, এমন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা, পার্টি ফর দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি অ্যান্ড অফ দ্য ফ্যামিলি।

| Edited By: Soumya Saha

Nov 27, 2021 | 9:34 AM

নয়া দিল্লি : সংবিধান। ভারতের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর গীতা হল সংবিধান। আজ সংবিধান দিবস (Constitution Day)। আজকের দিনেই সংবিধানের খসড়া তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। আজ সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবসের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই আজ ফের একবার পরিবারতন্ত্র নিয়ে নাম না করে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।

কংগ্রেসের কাছে এই খোঁচা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে গান্ধী পরিবারের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে বক্রোক্তি হজম করতে হয়েছে কংগ্রেসকে। শুধু বিজেপিই নয়, কংগ্রেসের জোট শরিকরা, এমনকী নিজের দলের নেতাদের একাংশও সরব হয়েছিলেন একাধিক সময়ে। কখনও নাম করে, কখনও বা ঠারেঠোরে কংগ্রেসের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে নিজেদের দলের নেতারাই।

যদিও গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত আবার এর পাল্টা প্রশ্নও তুলে এসেছে। তাঁদের বক্তব্য, তাহলে কি এক পরিবারের থেকে একজনের বেশি মানুষ রাজনীতিতে আসতে পারবেন না? তবে আজ সেন্ট্রাল হলে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বক্রোক্তি শানালেন, তাতে পরিবার তন্ত্রের ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তখন দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে অটুট রাখতে সংবিধানের মাহাত্ম্যের কথা তুলে ধরছিলেন তাঁর ভাষণে। আর সেই সময়েই সরাসরি কারও নাম না করে মোদী বলেন, “এমন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা, পার্টি ফর দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি অ্যান্ড অফ দ্য ফ্যামিলি। এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।” সরাসরি নাম না নিলেও প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় যে গান্ধী পরিবারই ছিল, তাতে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে এর পাশাপাশি, পরিবারিক দল এবং পরিবার তন্ত্র বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন, তারও ব্যাখ্যা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, পারিবারিক দল বা পরিবার তন্ত্র মানে এমনটা নয় যে কোনও একটি রাজনৈতিক দলে কোনও পরিবার থেকে একজনের বেশি নেতা থাকবেন না। যদি কারও যোগ্যতা থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্যারিশ্মায় রাজনীতির দুনিয়ায় আসতেই পারেন। নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে কোনও পরিবারের একের বেশি মানুষ কোনও দলে যোগ দিলেও, সেই দল কখনোই পারিবারিক দল হয়ে যায় না। কিন্তু কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে বছরের পর বছর ধরে কোনও একটি পরিবার নিয়ন্ত্রণ করে যাওয়াটা গণতন্ত্রের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি সুস্থ গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় স্তরের রাজনীতিতে বিজেপির এমন বেশ কিছু নেতাই রয়েছেন, যাঁরা মূলত একই পরিবারের। কিন্তু সেগুলিকে কখনও পরিবারতন্ত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ, বিজেপির একটি সাংগঠনিক পরিকাঠামো রয়েছে। ঠিক যেমনটা রয়েছে বামেদেরও। এদিকে আজকের এই বার্তা থেকে একমাত্র কংগ্রেস শিবিরকেই নয়, সঙ্গে আরও অনেক দলই রয়েছে, যেখানে দল মূলত একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে চালিত হয় বলে অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি। এর মধ্যে গান্ধী পরিবারের পরেই রয়েছে সমাজবাদী পার্টি। মূলায়ম সিং যাদবের পরে তাঁর ছেল অখিলেশ যাদব। আর কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লার পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা। বিজেপির এমন অভিযোগের তালিকা অনেক লম্বা।

আরও পড়ুন : PM Modi on Constitution Day: ‘গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক পরিবারতন্ত্র’, সংবিধান দিবসে কর্তব্যের পথে চলার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

দেখুন ভিডিয়ো : 

নয়া দিল্লি : সংবিধান। ভারতের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর গীতা হল সংবিধান। আজ সংবিধান দিবস (Constitution Day)। আজকের দিনেই সংবিধানের খসড়া তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। আজ সংসদ ভবনের সেন্ট্রাল হলে সংবিধান দিবসের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই আজ ফের একবার পরিবারতন্ত্র নিয়ে নাম না করে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)।

কংগ্রেসের কাছে এই খোঁচা নতুন নয়। বিভিন্ন সময়ে গান্ধী পরিবারের উপর নির্ভরশীলতা নিয়ে বক্রোক্তি হজম করতে হয়েছে কংগ্রেসকে। শুধু বিজেপিই নয়, কংগ্রেসের জোট শরিকরা, এমনকী নিজের দলের নেতাদের একাংশও সরব হয়েছিলেন একাধিক সময়ে। কখনও নাম করে, কখনও বা ঠারেঠোরে কংগ্রেসের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে নিজেদের দলের নেতারাই।

যদিও গান্ধীদের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত আবার এর পাল্টা প্রশ্নও তুলে এসেছে। তাঁদের বক্তব্য, তাহলে কি এক পরিবারের থেকে একজনের বেশি মানুষ রাজনীতিতে আসতে পারবেন না? তবে আজ সেন্ট্রাল হলে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে বক্রোক্তি শানালেন, তাতে পরিবার তন্ত্রের ব্যাখ্যাও দিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তখন দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে অটুট রাখতে সংবিধানের মাহাত্ম্যের কথা তুলে ধরছিলেন তাঁর ভাষণে। আর সেই সময়েই সরাসরি কারও নাম না করে মোদী বলেন, “এমন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা, পার্টি ফর দ্য ফ্যামিলি, বাই দ্য ফ্যামিলি অ্যান্ড অফ দ্য ফ্যামিলি। এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।” সরাসরি নাম না নিলেও প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় যে গান্ধী পরিবারই ছিল, তাতে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

তবে এর পাশাপাশি, পরিবারিক দল এবং পরিবার তন্ত্র বলতে তিনি কী বোঝাতে চাইছেন, তারও ব্যাখ্যা দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, পারিবারিক দল বা পরিবার তন্ত্র মানে এমনটা নয় যে কোনও একটি রাজনৈতিক দলে কোনও পরিবার থেকে একজনের বেশি নেতা থাকবেন না। যদি কারও যোগ্যতা থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্যারিশ্মায় রাজনীতির দুনিয়ায় আসতেই পারেন। নিজের যোগ্যতার ভিত্তিতে কোনও পরিবারের একের বেশি মানুষ কোনও দলে যোগ দিলেও, সেই দল কখনোই পারিবারিক দল হয়ে যায় না। কিন্তু কোনও একটি রাজনৈতিক দলকে বছরের পর বছর ধরে কোনও একটি পরিবার নিয়ন্ত্রণ করে যাওয়াটা গণতন্ত্রের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি সুস্থ গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।

উল্লেখ্য, সর্বভারতীয় স্তরের রাজনীতিতে বিজেপির এমন বেশ কিছু নেতাই রয়েছেন, যাঁরা মূলত একই পরিবারের। কিন্তু সেগুলিকে কখনও পরিবারতন্ত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায় না। কারণ, বিজেপির একটি সাংগঠনিক পরিকাঠামো রয়েছে। ঠিক যেমনটা রয়েছে বামেদেরও। এদিকে আজকের এই বার্তা থেকে একমাত্র কংগ্রেস শিবিরকেই নয়, সঙ্গে আরও অনেক দলই রয়েছে, যেখানে দল মূলত একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে চালিত হয় বলে অভিযোগ তুলে আসছে বিজেপি। এর মধ্যে গান্ধী পরিবারের পরেই রয়েছে সমাজবাদী পার্টি। মূলায়ম সিং যাদবের পরে তাঁর ছেল অখিলেশ যাদব। আর কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লার পরবর্তীকালে তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা। বিজেপির এমন অভিযোগের তালিকা অনেক লম্বা।

আরও পড়ুন : PM Modi on Constitution Day: ‘গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক পরিবারতন্ত্র’, সংবিধান দিবসে কর্তব্যের পথে চলার বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

দেখুন ভিডিয়ো :