নয়া দিল্লি: ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ সামিট বিশেষভাবে সফল বলে জানিয়েছেন তাঁবড়-তাঁবড় রাষ্ট্রনেতারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে জি-২০ সামিটের প্রশংসায় মুখর হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। এবার জি-২০ সামিটের সফলতার কৃতিত্ব দেশবাসীকেই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার, পুরানো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশনে বক্তৃতায় এমনটাই জানালেন তিনি।
জি-২০ সামিটের সাফল্য ভারতকে বিশ্বের দরবারে এক বিশেষ মাত্রায় উন্নীত করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পুরানো সংসদ ভবনের শেষ অধিবেশনের বক্তৃতায় তিনি বলেন, “আজ জি-২০ সামিটের সফলতা দেশবাসীর গর্ব বাড়িয়েছে। জি-২০ সামিটের সফলতা ১৪০ কোটি দেশবাসীর। এই সফলতা কোনও ব্যক্তি বা দলের নয়। এটা সমগ্র ভারতের সফলতা। আর এর প্রভাব গোটা বিশ্বের উপর পড়েছে।”
ভারতের উদ্যোগেই জি-২০ জোটের স্থায়ী সদস্যপদ পেয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন। সব সদস্য দেশের সমর্থন নিয়েই সামিটের শুরুতে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি ২০-র স্থায়ী সদস্য হিসাবে ঘোষণা করেন। এই ঘোষণায় আপ্লুত আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট আজালি আসোমানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান। তারপর দুই নেতা আলিঙ্গনে আবদ্ধ হন। যা সামিটের এক আবেগঘন মুহূর্ত হয় ওঠে। এদিন সেকথারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টকে ডেকে যখন আফ্রিকান ইউনিয়নকে স্থায়ী সদস্য হিসাবে ঘোষণা করা হল, তখন সেটা এক আবেগঘন মুহূর্ত ছিল। সেই আবেগঘন মুহূর্ত ভুলতে পারছি না। কত বড় আশা পূরণ করার কাজ ভারতের মধ্য গিয়ে সম্ভব হয়েছে। এটা ভারতের গর্বের বিষয়।”
নভেম্বরের শেষ দিন পর্যন্ত ভারতের হাতে জি-২০-র সভাপতিত্বের ব্যাটন রয়েছে। তাই এখনও যে কয়েকদিন সময় হাতে আছে, সেটা বিশেষ কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের সভাপতিত্বে নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপম-এ বসেছিল জি-২০ সামিট। যদিও বছরের গোড়া থেকেই এই সামিটকে সফল করতে দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওয়ার্কিং কমিটির একাধিক বৈঠক হয়েছে। তারপর ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লিতে সামিটে চিন ও রাশিয়া বাদে জি-২০ ভুক্ত সমস্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান-সহ বিদেশি অতিথিরা যোগ দেন। তাঁদের সম্মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজেরও আয়োজন করা হয়েছিল। বলা যায়, চাঁদের হাট বসেছিল সেখানে। এই সামিটকে কেন্দ্র করে গান-বাজনার আসর, প্রদর্শনীশালার মধ্য দিয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি, ঐতিহ্যও তুলে ধরা হয়ে রাষ্ট্রনেতা ও বিদেশি অতিথিদের সামনে। সবমিলিয়ে, জি-২০ সামিটকে কেন্দ্র করে দু-দিন রাজধানীতে রাজকীয় আয়োজন হয়।