সংসদ সুষ্ঠুভাবে চালাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে বসেছে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক।
Image Credit source: টিভি৯ বাংলা
নয়া দিল্লি: বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। মণিপুর ইস্যুতে বিরোধীদের হই-হট্টগোলে বারবার মুলতুবি হয়ে গিয়েছে অধিবেশন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার আসরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এবং অমিত শাহ (Amit Shah) স্বয়ং। আজ, মঙ্গলবার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে একদিকে সিনিয়ার ক্যাবিনেট সদস্যদের নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অপরদিকে, সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং।
- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে তৃতীয়বার মেয়াদের ব্লুপ্রিন্ট করে ফেলেছেন, তা এদিন সংসদীয় দলের বৈঠকে তাঁর মন্তব্যেই স্পষ্ট। দলীয় সাংসদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, “শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, কেন্দ্রে আবার আমরাই আসছি। আপনারা তৈরি থাকুন।” তাঁর সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে মেয়াদে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে বলেও জানান নরেন্দ্র মোদী।
- সংসদে বিরোধীদের বিরোধিতা নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আবার কেন্দ্রে এনডিএ ক্ষমতায় আসবে দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সাংসদ-বিরোধীরা দিশাহীন, মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন বিরোধী হয়ে থাকার মনস্থির করেছেন তারা! এটাই তাঁদের নিয়তি! এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আমাদের এক বছর বাকি আছে- তাই আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের নতুন করে শুরু করতে হবে।”
- সংসদে বিরোধীদের হট্টগোলে সুষ্ঠুভাবে অধিবেশন না চললেও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী মোদী। দলীয় সাংসদদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, “বিরোধীদের কাজ প্রতিবাদ করা, তাঁদের করতে দিন এবং নিজেদের কাজে মনোনিবেশ করুন।”
- এদিন দলের সংসদীয় বৈঠকে বিরোধী-জোট নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী-জোটের নাম ইন্ডিয়া প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “ব্রিটিশরা যেমন এসে নিজেদের নাম দিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, তেমনি বিরোধীরা নিজেদের ভারতের নামে উপস্থাপন করছে।” বিরোধীদের জোটের নাম প্রসঙ্গে জঙ্গি দলের সঙ্গেও তুলনা টানেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বিরোধীরা ইন্ডিয়া নামে কাজ করছে। ইন্ডিয়া তো ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও ছিল। জঙ্গি সংগঠনের নামও ইন্ডিয়ান মুজাহিদ হিন্দ।”
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সিনিয়ার নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ সংসদ ভবনে শুরু হয়েছে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সেই বৈঠকে বিজেপির সমস্ত সাংসদরা উপস্থিত রয়েছেন। মূলত, বিরোধীদের ঠেকাতে বিজেপির রণকৌশল কী হবে, পরবর্তী স্ট্রাটেজি কী নেওয়া হবে, সেটা এই বৈঠকে স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।
- সূত্রের খবর, বিরোধীদের বিরোধীতা সত্ত্বেও অধিবেশন চালাতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। বিরোধীরা হট্টগোল করলে আলোচনা ছাড়াই বিল পাস করাতে চায় কেন্দ্র। এই অধিবেশনে দিল্লি অর্ডিন্যান্স, ডেটা সুরক্ষা-সহ মোট ৩১টি বিল পাশ করানোর কথা রয়েছে। কিন্তু, বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন থেকে যেভাবে বিরোধীদের হই-হট্টগোলে বারবার মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে সংসদ, এভাবে চললে কোনও বিল পাশ করা সম্ভব হবে না। তাই বিরোধীদের ঠেকাতে সাতসকালেই আলাদাভাবে বৈঠকে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
- এদিন সকালে অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের অচলাবস্থা কাটানোর বিষয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সহ সিনিয়ার ক্যাবিনেট সদস্যদের নিয়ে নিজের বাড়িতে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কীভাবে বিরোধীদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ঠেকানো যায় এবং সুষ্ঠুভাবে অধিবেশন চালানো যায়, সেটা নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে।
বিস্তারিত আসছে..