PM Modi Meeting: প্রতিবেশী দুই দেশের হালই টালমাটাল, জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী
PM Modi Meeting: সংসদ ভবনে চলছে এই বৈঠক। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নয়া দিল্লি: একদিকে পাকিস্তান(Pakistan)-র প্রধানমন্ত্রীর গদি নিয়ে টানাটানি চলছে, অন্যদিকে চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দুই দেশের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়েই এবার জরুরি বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সূত্রের খবর, সংসদ ভবনে চলছে এই বৈঠক। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর(S Jaishankar)-র সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি। প্রতিবেশী দুই দেশের পরিস্থিতি নিয়েই বিদেশমন্ত্রীর থেকে যাবতীয় তথ্য জানতে চেয়েছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান- দুই দেশেই প্রায় একই সময়ে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। একদিকে যেখানে ইমরান খানকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে উদ্যত বিরোধীরা। সেখানেই আবার আর্থিক দেনায় ডুবে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিকে দুই দেশকে কীভাবে সাহায্য করা যায়, তা খতিয়ে দেখতেই বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গোটা পরিস্থিতির সঙ্গেই ওয়াকিবহাল রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, তার কাছ থেকেই গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
উল্লেখ্য, ঋণের দায়ে ও আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশের অর্থনীতির বড় অংশই পর্যটনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায়, করোনাকালে তা বিপুল সঙ্কটের মুখে পড়েছে। অন্যদিকে, কলম্বোর বিদেশি ঋণের বড় অংশ চিনের থেকেই নেওয়া। সঙ্কটের মুহূর্তে পাশে থাকা তো দূরস্ত, বরং টাকা ফেরত দিতে চাপাচাপি শুরু করে দিয়েছে চিন। প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার অর্থাত্ ২৬ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে, ২ বছরের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে ঋণ পরিশোধের জন্য।
শ্রীলঙ্কায় যে চরম আর্থিক সঙ্কট দেখা গিয়েছে, সেই বিষয়টি সামনে আসার পরই গত ২৮ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন। ইতিমধ্যেই ভারতের তরফে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল পাঠানো হয়েছে শনিবার। এছাড়া পাঠানো হচ্ছে ৪০ হাজার টন চালও। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্গতি না থাকায়, ক্রেডিট লাইনেই এই সাহায্য করা হয়েছে।
অন্যদিকে, প্রথম থেকেই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, বিশেষ করে কাশ্মীর নিয়ে ক্রমাগত নাক গলায় পাকিস্তান। কিন্তু সেই দেশেই বর্তমানে টালমাটাল সরকার। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দেশের অর্থনীতি, বিদেশনীতি কিছুই সামলাতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই পাক সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। গতকাল, রবিবারই জাতীয় সংসদে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে ডেপুটি স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘সংবিধানবিরোধী’ বলে অ্যাখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন। এরপরই ইমরান খান জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে গিয়ে জানান যে তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে পাক সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন এবং নতুন করে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। এই পরামর্শ মেনেই গতকালই পাক সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করার ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, তার দিকেও কড়া নজর রাখছে ভারত।
আরও পড়ুন: Imran Khan: অনাস্থা প্রস্তাবের পিছনে রয়েছে ‘বিদেশি চক্রান্তকারী’ই! নামও ফাঁস করলেন ইমরান