নয়া দিল্লি: সমাজকে দিশা দেখাতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সোমবার, বড়দিন উৎসবে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেখা করে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তিনি বলেন, “যীশুখ্রিস্ট একটা ভাল সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সমাজকে দিশা দেখাতে খ্রিস্টান সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এমনকি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।” গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তাঁর সঙ্গে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এদিন নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনেই বড়দিন উদযাপিত হয় এবং সেই উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কিছু সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ আলাপচারিতাও করেন প্রধানমন্ত্রী। আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “এটা আমার জন্য খুবই আনন্দের মুহূর্ত যে, আমার বাসভবনে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। কয়েক বছর আগে পোপের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। সেটা আমার জন্য খুব স্মরণীয় মুহূর্ত ছিল।”
এদিন যীশুখ্রিস্টকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “বড়দিন হল সেই দিন, যেদিন আমরা যীশুর জন্মদিন উদযাপন করি। তাঁর জীবনকে স্মরণ করার একটি সুযোগ হল এই দিনটি। যীশুখ্রিস্ট এমন একটি সমাজ তৈরি করার জন্য কাজ করেছিলেন, যেখানে সকলের জন্য ন্যায়বিচার থাকবে। এই মূল্যবোধগুলি আলোর মতো আমাদের দেশের উন্নয়নে দিশা দেখাচ্ছে।”
এদিন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তাঁদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের গুরুত্বও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “বাইবেলে বলা হয়েছে যে ঈশ্বর আমাদের যা কিছু উপহার এবং ক্ষমতা দিয়েছেন, সেটা আমাদের অন্যের সেবায় ব্যবহার করা উচিত। বাইবেলে সত্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, একমাত্র সত্যই আমাদের মুক্তির পথ দেখাবে।” এই মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি বলেও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, “বড়দিনের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতার সময় পোপ যীশুখ্রিস্টের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন যে, যাঁরা দারিদ্র্য দূর করতে কাজ করছেন তাঁরা যেন তাঁর আশীর্বাদ পান। তিনি বিশ্বাস করেন যে, দারিদ্রতা ব্যক্তির মর্যাদাকে আঘাত করে।” পোপের এই কথাগুলো তাঁর চেতনাকে প্রতিফলিত করে এবং এটাই আমাদের উন্নয়নের মন্ত্র বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এপ্রসঙ্গে দেশবাসীকে আশ্বস্ত তিনি বলেন, “আমাদের মন্ত্র হল, সবকা সাথ সবকা বিকাশ। সরকার হিসাবে আমরা নিশ্চিত করছি যে উন্নয়নের সুফল প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে পৌঁছবে এবং কেউ এর থেকে বঞ্চিত থাকবে না।”