নয়া দিল্লি: বাবা সাংসদ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছেন শুনে, সঙ্গে যাওয়ার বায়না ধরেছিল পাঁচ বছরের মেয়েও। তাঁর জেদের কাছে হার মেনেই গোটা পরিবারকেই সঙ্গে আনতে বাধ্য হয়েছিলেন মধ্য প্রদেশের বিজেপি সাংসদ অনিল ফিরোজ়িয়া। তাঁর কন্যার সঙ্গে দেখা করে আপ্লুত খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। দীর্ঘক্ষণ ওই খুদের সঙ্গে গল্প করলেন তিনি। হাসলেন ওই একরত্তির কথা শুনে।
সংসদে বাদল অধিবেশন চলায়, মধ্য প্রদেশের সাংসদ দিল্লি এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে এসেছেন পরিবারের বাকি সদস্যরাও। বুধবার পাঁচ বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই এসেছিলেন সংসদ ভবনে। ভেবেছিলেন সংসদে কার্যাবলী কেমন হয়, তা দূর থেকেই দেখাবেন। কিন্তু সেখানেই যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি। এদিকে, ওই খুদেকে দেখেই তাদের নিজের ঘরে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গল্প করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সাংসদের মেয়ের সঙ্গে।
পাঁচ বছরের অহনা ফিরোজিয়াকে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কে, তা সে জানে কি না। ছোট্ট অহনার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর, “হ্যাঁ, আপনি তো মোদীজি। আপনাকে রোজ টিভিতে দেখি।” প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আমি কী কাজ করি জানো?” এক মিনিটও সময় নেয়নি অহনা, সঙ্গে সঙ্গে উত্তর, “আপনি লোকসভায় কাজ করেন।”
খুদে ভক্তের এই উত্তর শুনে হেসে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। রুমে উপস্থিত বাকিরাও হাসি চেপে রাখতে পারেননি। ছোট্ট অহনার এই চটপট উত্তর শুনে মুগ্ধ প্রধানমন্ত্রীও। যাওয়ার আগে তিনি ওই খুদেকে চকোলেটও দেন উপহার হিসাবে।
উল্লেখ্য, মধ্য প্রদেশের সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া এর আগেও খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। তবে সেবার নিজের ওজনের জন্য। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করী তাঁকে দেখে ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। রাজ্যের সড়ক উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে অনুদান চাইলে কেন্দ্রীয় সাংসদ বলেছিলেন, ওই বিজেপি সাংসদ যত কেজি ওজন ঝরাবেন, তত হাজার কোটি টাকা তিনি অনুদান দেবেন ওই সাংসদের নির্বাচনী কেন্দ্রের জন্য। এখনও অবধি অনিল ফিরোজিয়া ২১ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন, অর্থাৎ তাঁর প্রাপ্য অর্থের পরিমাণ ২১ হাজার কোটি টাকা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তাঁকে দেখে বলেছিলেন যে, সম্পূর্ণ ফিট হতে তাঁকে আরও কয়েক কেজি ওজন ঝরাতে হবে।