নয়া দিল্লি: কোটির মাত্রা পেরিয়ে গেল ছোটদের টিকাকরণ। ৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে ২ কোটি শিশু-কিশোরের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে বলে ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। টুইট করে সেকথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তাঁরই টুইট ধরে আরও একটি টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ছোটদের উদ্দেশে জ্ঞাপন করলেন শুভেচ্ছা বার্তা।
টুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “অভিনন্দন! আমার নবীন বন্ধুরা! সাবাশ! আমাদের এই গতি অব্যাহত থাক। যাঁরা এখনও টিকা নেননি, তাঁরা সত্বর টিকাগ্রহণ করুন। কোভিড প্রোটোকল মেনে চলুন।” সঙ্গে রয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর একটি টুইট। সেই টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যুব ভারতকে করোনার হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিরক্ষাকবচ…৩ জানুয়ারি থেকে গোটা দেশে মোট ২ কোটি ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে। সকল নবীন বন্ধুদের অভিনন্দন। টিকাকরণের এই গতিযাত্রা অব্যাহত থাক। হ্যাশট্যাগ সকলেরটিকাবিনামূল্যে টিকা। ‘
Excellent! Well done my young friends.
Let us continue this momentum.
Urging everyone to follow all COVID-19 related protocols and get vaccinated, if you haven’t already. https://t.co/h6TCS0BDkU
— Narendra Modi (@narendramodi) January 8, 2022
প্রসঙ্গত, গত ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনেই টিকাকরণ নিয়ে বড় ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তিনি জানান, দেশের ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে এই টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে। এছাড়া ১০ জানুয়ারি থেকে দেওয়া হবে করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ়। স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারাই প্রথম পর্যায়ে এই প্রিকশন ডোজ় পাবেন। একইসঙ্গে ষাটোর্ধ্ব নাগরিক এবং যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরও এই প্রিকশন ডোজ় দেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে তাদের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিন, কোভিশিল্ড, ফাইজ়ার, মডার্নার মতো একাধিক টিকা রয়েছে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কেবল কোভ্যাক্সিন ও জ়াইকোভ-ডি ভ্যাকসিনই অনুমোদন পেয়েছে। উল্লেখ্য, ছোটদের টিকাকরণ কর্মসূচি ঘোষণার দিনই ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া(DCGI)-র তরফে কোভ্যাক্সিনকে শিশুদের করোনা টিকা হিসাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, জ়াইকোভ-ডি হল বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভিত্তিক ও সূচবিহীন টিকা। গত ২০ অগস্টই এই টিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক ও ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর এই সূচবিহীন টিকা প্রয়োগের অনুমোদন মিললেও দেশের টিকাকরণ কর্মসূচীতে এখনও জ়াইকোভ-ডির নাম সংযুক্ত করা হয়নি। ফলে শিশু তো দূরের কথা, প্রাপ্তবয়স্করাও এখনও এই টিকা পাননি।
দেশের কোভিড প্যানেলের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ডঃ এনকে অরোরা জানান, কোভ্যাক্সিন শিশুদের মধ্যে ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গঠন করতে সক্ষম হয়েছে, এমনটাই ফলাফল দেখা গিয়েছে টিকার ট্রায়ালে। তিনি বলেন, “১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা, বিশেষত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই প্রাপ্তবয়স্কদের মতো। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১৮ অনুর্ধ্বদের করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশই এই বয়সসীমার অন্তর্গত ছিল। সেই কারণেই সদ্য কৌশোরকালে পা দেওয়া নাগরিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে, তাদের টিকাকরণের ঘোষণা করা হয়েছে।”
ডঃ অরোরা জানান, ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখিয়েছে, তাই শিশুদের টিকাকরণ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তাছাড়া এই ভ্যাকসিনটি সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। সামান্য় ব্যাথা ও হাত ফোলা ছাড়া তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari on TMC: ‘প্রতিশ্রুতি পালন করছেন মাননীয়া, ত্রিপুরার পর গোয়ায়…ডবল-ডবল চাকরি দিচ্ছেন!’