Suvendu Adhikari on TMC: ‘প্রতিশ্রুতি পালন করছেন মাননীয়া, ত্রিপুরার পর গোয়ায়…ডবল-ডবল চাকরি দিচ্ছেন!’
Goa Assembly Election 2022: বঙ্গে নির্বাচন হোক বা ত্রিপুরায়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবারই অভিযোগ উঠেছে ভোট লুঠের। পুরনির্বাচনেও বিরোধীরা অভিযোগ করেছে বাইরে থেকে লোক এনে কলকাতায় ভোট করানো হয়েছে। যদিও, দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বরাবরই কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কলকাতা ও গোয়া: হাতে মাত্র এক মাস। তারপরেই আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানকার একদফার নির্বাচনে জোরকদমে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরার পর এখন গোয়াতেই পাখির চোখ তৃণমূল সুপ্রিমোর (Mamata Banerjee)। এই সময়ে, টাকার বদলে বাইরে থেকে লোক নিয়ে ভোটার কার্ড বিলির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাইরাল হল ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়ো টুইট করে রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
ভিডিয়োটি টুইট করে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক লিখেছেন, “তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবে তাঁর প্রাক-নির্বাচন প্রতিশ্রুতি পূরণ করছেন। কীভাবে? ত্রিপুরার নির্বাচনে টাকা দিয়ে লোক পাঠিয়েছিলেন। এরপর টাকা দিয়ে গোয়ায় লোক পাঠাচ্ছেন! তাহলে হল না ডবল-ডবল চাকরি! মাননীয়ার সব খেলা শেষ হবে ফেব্রুয়ারিতে।”
How @MamataOfficial is fulfilling her pre poll promise of providing "Double Double Jobs" to Bengalis.Firstly sent people to Tripura for Municipal Polls. Now she's sending people to Goa for Assembly Polls. Isn't it"Double Double Jobs"?Just that it's temporary. Stunt ends in Feb. pic.twitter.com/WGpgJr13fR
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) January 8, 2022
কী দেখা গিয়েছে সেই ভিডিয়োয়?
দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হচ্ছে, তিনি কোথা থেকে এসেছেন ও কেন এসেছেন? ওই ব্যক্তির হাতে রয়েছে ভোটার কার্ড ও তৃণমূলের একটি প্রচারপত্রও। প্রশ্ন করতেই কিছুটা আমতা আমতা করে ওই ব্যক্তি উত্তর দেন তিনি গোয়ার বাসিন্দা নন। তাঁকে দৈনিক পাঁচশো টাকা করে দেওয়া হয়। তার বদলে তিনি তৃণমূলের পক্ষে প্রচার করেন। এর আগে ওই ব্যক্তি ত্রিপুরাতেও গিয়েছিলেন। তিনি গোয়ার বাসিন্দা বা ভূমিপুত্র নন। আদপে বঙ্গের লোক। আর এই ভিডিয়োটি নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যদিও, ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।
গোয়ায় তৃণমূল
উল্লেখ্য, বঙ্গে নির্বাচন হোক বা ত্রিপুরায়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বারবারই অভিযোগ উঠেছে ভোট লুঠের। পুরনির্বাচনেও বিরোধীরা অভিযোগ করেছে বাইরে থেকে লোক এনে কলকাতায় ভোট করানো হয়েছে। যদিও, দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বরাবরই কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বাইরে থেকে লোক এনে ভিড় করানো যাবে না এমন নির্দেশও দিয়েছিলেন। পাশাপাশি গোয়ায় সংগঠন জোর করতেও নানা পদক্ষেপ করেছে তৃণমূল। মাঝেমধ্যেই গোয়ায় পা পড়ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বা খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর। সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন মহুয়া মিত্র থেকে সুস্মিতা দেবও।
দিন কয়েক আগে ঘাসফুল শিবিরে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে দলত্যাগ করেছেন গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সহ পাঁচজন। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন ওই প্রাক্তন বিধায়ক। গোয়ার প্রাক্তন বিধায়ক লাভু মামলেদারের দাবি, ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মমতাকে একটি চিঠি দিয়ে দল ছেড়েছেন তিনি। সেই চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘গোয়াবাসীর মধ্যে ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। এমজিপির দিকে হিন্দু ভোট ও তৃণমূল কংগ্রেসের গিকে খ্রিস্টান ভোট টানার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল একটি সাম্প্রদায়িক দল।’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরিওর সঙ্গে যে ১০ জন একেবারে শুরুতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে মামলেদার অন্যতম। মাত্র তিন মাসের মধ্যেই দল ছেড়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি যাতে স্বচ্ছ থাকে সেদিকেই নজর দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ফের শুভেন্দুর টুইটে রাজনৈতিক সংঘাত তৈরি হতে পারে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Abhishek Banerjee: ‘ওঁ কখন দলের, কখন ঘরের লোক বুঝি না’