আহমেদাবাদ:সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ গান্ধীনগর ক্যাপিটাল রেলওয়ে স্টেশনে সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেনটির পথ চলা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি গান্ধীনগর থেকে কালুপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই অত্যাধুনিক ট্রেনে যাত্রাও করেন। এটি দেশের তৃতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এর আগে নয়াদিল্লি-বারানসী এবং নয়াদিল্লি-মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা রেলপথে দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল।
এই ট্রেনে যাত্রীরা বিমান যাত্রার মতো ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন, বলে দাবি করা হয়। স্বাচ্ছন্দের পাশাপাশি রয়েছে কবচের মতো উন্নত নিরাপত্তা প্রযুক্তি, যা দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ এড়ানোর ব্যবস্থা। ১ অক্টোবর থেকে এই ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে চলাচল শুরু করবে। রবিবার ছাড়া সপ্তাহে ছয় দিনই চলবে এই ট্রেন। প্রতিদিন সকাল ৬টা বেজে ১০ মিনিটে মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে ছেড়ে দুপুর সাড়ে বারোটায় এসে পৌঁছবে গান্ধীনগরে। আবার গান্ধীনগর থেকে বেলা ২টো বেজে ৫ মিনিটে ছেড়ে মুম্বই সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে পৌঁছাবে রাত ৮টা বেজে ৩৫ মিনিটে। মাঝে সুরাট, ভদোদরা এবং আহমেদাবাদ স্টেশনে থামবে। এক্সিকিউটিভ চেয়ার কারে যাত্রার ভাড়া হবে ২,৫০৫ টাকা আর সাধারণ চেয়ার কারের ভাড়া হবে ১,৩৮৫ টাকা।
अमृत काल में आगे बढ़ती आत्मनिर्भर भारतीय रेल।#VandeBharat 2.0 flagged off by Hon’ble PM @narendramodi Ji from Gandhinagar Capital Railway Station. pic.twitter.com/7h5Gs1HQTO
— Ashwini Vaishnaw (@AshwiniVaishnaw) September 30, 2022
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসগুলি দেশীয়ভাবে নকশা করা আধা-উচ্চ গতির স্ব-চালিত ট্রেন। ১৬টি কোচ রয়েছে ট্রেনগুলিতে। মাত্র ১৪০ সেকেন্ডে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে পৌঁছয়। তবে এত গতিতে চললেও, ভিতরে থাকা যাত্রীরা আরামে যাত্রার অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এই ট্রেনগুলিতে একটি কোচ কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি কোচে যাত্রীদের জন্য ইনফরমেশন এবং ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম রয়েছে। এছাড়া, প্রচিটি কোচে স্লাইডিং ফুটস্টেপ-সহ স্বয়ংক্রিয় দরজা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিমানের মতো বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট রয়েছে। বিশেষভাবে-সক্ষম যাত্রীদের জন্যও বিশেষ শৌচাগারের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।