নয়া দিল্লি: করোনাকালে আশার আলো দেখাচ্ছে যোগাসন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা সংক্রমণের জন্য বিগত বছরগুলির মতো এ বছর বড় মাপে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব না হলেও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ গোটা বিশ্ব যখন করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে, সেই সময় আশা আলো দেখাচ্ছে যোগাসন। বিগত দুই বছর ধরে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি, তবুও যোগাসনকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহে ভাঁটা পরেনি।”
যেভাবে করোনা সংক্রমণ গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়েছিল, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে কোনও দেশই প্রস্তুত ছিল না। সেই সময় যোগাসনই ভিতর থেকে শক্তি জুগিয়েছিল বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যোগাসন কেবল শারীরিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতেই নয়, একইসঙ্গে আত্মশাসন ও নিজের উপর বিশ্বাসও তৈরি করতে সাহায্য করে। অধিকাংশ দেশের কাছেই যোগ দিবস কেবল প্রাচীন সংস্কৃতির অনুষ্ঠান নয়। এই কঠিন সময়ে মানুষ যোগাসনের কথা ভুলে যেতেই পারত। কিন্ত উল্টোটাই হয়েছে, মানুষের মধ্যে যোগাসন নিয়ে উৎসাহ ও ভালবাসা আরও বেড়েছে।”
চিকিৎসাক্ষেত্রেও যে যোগাসনের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে, তা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রথম সারির যোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলেও তিনি জানতে পেরেছেন শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে দৈনন্দিন রুটিনে তাঁরা যোগাসনকে জুড়েছেন। রোগীদেরও মানসিক উদ্বেগ কমাতে যোগাভ্যাস করিয়েছেন তাঁরা। করোনাকালে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যোগাসনের উপকারিতা নিয়েও গবেষণা হচ্ছে। অনলাইন ক্লাসেও শিশুদের যোগাসনের অভ্যাস করানো হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
২০১৫ সালে রাষ্ট্রসংঘের তরফে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের ঘোষণা করা হয়। সপ্তম বর্ষে পা দিয়ে এ দিন প্রধানমন্ত্রী যোগাসনকে বিশ্বের প্রতিটি কোণায় পৌঁছে দিতে “এম যোগা” নামক একটি অ্যাপেরও ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় বিভিন্ন ভাষায় এই অ্যাপে যোগাসন সম্পর্কে নানা তথ্য থাকবে এবং বিভিন্ন প্রষিক্ষকরাও ভিডিয়োর মাধ্যমে যোগাসন শেখাবেন।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির ট্রাস্টের প্রধানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, পাল্টা এফআইআর সাংবাদিকের নামে