AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জমি দখলের অভিযোগ রাম মন্দির ট্রাস্টের প্রধানের বিরুদ্ধে, আর এফআইআর হল সাংবাদিকের নামে

সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি দখলের অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিজনৌরে ২০ হাজার স্কোয়ার মিটারের একটি গোশালা, যার মালিক অলকা লাহোটি নামক এক প্রবাসী, তাঁর জমি দখল করে নেওয়া হয়েছে।

জমি দখলের অভিযোগ রাম মন্দির ট্রাস্টের প্রধানের বিরুদ্ধে, আর এফআইআর হল সাংবাদিকের নামে
চম্পত রাই। ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jun 21, 2021 | 9:33 AM
Share

লখনউ: কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ২ কোটি টাকার জমির দাম হয়ে গিয়েছিল ১৮ কোটি টাকা! রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জমি কেনা ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তাতে যোগ হল আরও বিতর্ক। ২০ হাজার স্কোয়ার মিটারের একটি জমি জবরদখল করার অভিযোগ উঠতেই তার প্রেক্ষিতে এক সাংবাদিক সহ তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা চম্পত রাইয়ের ভাই। এ দিকে, প্রাথমিক তদন্তে বিজনৌর পুলিশের তরফে জমি দুর্নীতি মামলায় চম্পত রাই ও তাঁর ভাইকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই।

বিজনৌর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চম্পত রাইয়ের ভাই সঞ্জয় বনশল সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ, অলকা লাহোটি ও রাজনীশের নামে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫টি ধারায় ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের তিনটি ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। সঞ্জয় বনশলের অভিযোগ, ওই তিনজন চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ এনেছেন এবং দেশজুড়ে কয়েক কোটি মানুষের মনোভাবে আঘাত করেছেন।

সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক বিনীত নারায়ণ চম্পত রাইয়ের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জমি দখলের অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিজনৌরে ২০ হাজার স্কোয়ার মিটারের একটি গোশালা, যার মালিক অলকা লাহোটি নামক এক প্রবাসী, তাঁর জমি দখল করে নিয়েছেন চম্পত রাই। ২০১৮ সাল থেকেই অলকা লাহোটি নাকি দখলিকৃত জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছিলেন। এই বিষয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সাহায্যও চেয়েছিলেন।

এ দিকে, এফআইআরে সঞ্জয় বনসল জানান যে তিনি ঘটনার সত্যতা জানাতে সাংবাদিক বিনীত নারায়ণের ফোন নম্বর খুঁজে বের করেন এবং তাঁকে ফোন করেন। কিন্তু রাজনীশ নামক এক ব্যক্তি ফোন ধরেন ও খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করেন। উনি খুন করার হুমকিও দেন। এরপরই তিনি বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ জানান।

এফআইআর দায়ের হওয়ার পরই বিজনৌরের পুলিশ প্রধান ধর্মবীর সিং একটি ভিডিয়ো বিবৃতিতে বলেন, “স্থানীয় পুলিশ গোটা বিষয়টির তদন্ত করছে। চম্পত রাই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রবীণ নেতা এবং রাম মন্দির তৈরির জন্য গঠিত ট্রাস্টেরও সদস্য। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। আমরা সমস্ত তথ্য প্রমাণ জোগাড় করছি।”

আরও পড়ুন: PM Modi Yoga Day Live: যোগ থেকে সংযোগের পথ দেখাতে ‘এম যোগা অ্যাপে’র ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর