নয়া দিল্লি: মিসেস এবার্টকে চেনেন? চেনার কথা নয়। ৭৫ বছরেরও বেশি আগে গোয়া থেকে তিনি সপরিবারে পাড়ি দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে। সেখানে গিয়ে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করা শুরু করেছিলেন তিনি। এরকম হাজার হাজার মিসেস এবার্ট ভারত থেকে অন্য দেশে পাড়ি দিয়ে, সেই দেশের উন্নয়নে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অবদান রেখেছেন। তবে, মিস এবার্টের কাহিনি বাকিদের থেকে একটু আলাদা। তাঁর ছাত্রদের একজন বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রী। রবিবার (১২ মার্চ), সোশ্যাল মিডিয়ায় মিস এবার্টের এই অজানা কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক ভারতীয় মহিলার কাছে, বর্তমান অস্ট্রেলিয় বাণিজ্য মন্ত্রীর শিক্ষা গ্রহণের ঘটনা ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সমৃদ্ধশালী সাংস্কৃতিক সংযোগের পরিচয় বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে ভারতে সফরে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ। তাঁর সফর সঙ্গী ছিলেন সেই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ডন ফারেল। এদিন একাধিক টুইটে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত সরকারি মধ্যাহ্নভোজের সময় অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী তাঁর ভারতীয় বংশোদ্ভূত শিক্ষিকার কাহিনি প্রকাশ করেছেন। টুইটে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী অ্যালবানিজের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের সময় অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও পর্যটন মন্ত্রী ডন ফারেল কিছু মজার কথা ভাগ করে নিয়েছেন। তাঁকে প্রথম শ্রেণিতে পড়াতেন জনৈক মিসেস এবার্ট। তিনি তাঁর (ডন ফারেল)-এর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিলেন। তাঁর শিক্ষাজীবনের ভিত তৈরি করে দিয়েছিলেন। দত শতাব্দীর পাঁচের দশকে ভারতের গোয়া থেকে অ্যাডিলেডে চলে গিয়েছিলেন মিসেস এবার্ট, তাঁর স্বামী এবং তাঁর মেয়ে লিওনি। অ্যাডিলেডের একটি স্কুলে তিনি শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন।”
During the lunch in honour of my friend PM @AlboMP, the Australian Trade and Tourism Minister Don Farrell shared something interesting…he was taught by one Mrs. Ebert in Grade 1 who left a deep impact on his life and credits her for his educational grounding. pic.twitter.com/l0dKJbFCbZ
— Narendra Modi (@narendramodi) March 12, 2023
নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, মিসেস এবার্টের মেয়ে লিওনি, বর্তমানে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ইনস্টিটিউট অব টিচার্সের সভাপতি। মোদি আরও বলেছেন, “এই আখ্যানটি শুনে আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি। এটা ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক সংযোগের পরিচায়ক। যখন কেউ আপ্লুত হয়ে তাঁর শিক্ষিকার কথা বলে তখন তা শুনতেও সমান আনন্দদায়ক হয়।”