ভোপাল: বিহারের জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছে নীতীশ কুমারের সরকার। যা নিয়ে ফের দ্বি-বিভক্ত হয়ে গিয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহল। এই রিপোর্ট কার্ড গোটা দেশের নজির এবং কেন্দ্রের তরফেও এই সমীক্ষা চালু করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছেন লালু প্রসাদ যাদব থেকে রাহুল গান্ধী। পাল্টা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) তোপ, “জাতির নামে দেশে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে।”
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারে যান। সেখানে জনসভা থেকেই বিহারের জাতিগত সমীক্ষা নিয়ে বিরোধীদের একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। নাম না করে বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ওরা দরিদ্রদের অনুভূতি নিয়ে খেলত। আজও একই খেলা খেলছে। আগেও তারা জাতির নামে দেশভাগ করছে এবং আজও একই পাপ কাজ করছে। আগে ওরা দুর্নীতিতে দোষী হয়েছিল এবং আজ আরও দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে।” বর্ণের ভিত্তিতে বিভাজন করা একটা ‘পাপ’ বলেও তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে সরব হন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই জাতির ভিত্তিতে সমীক্ষা করবে এবং ওবিসিদের সংখ্যা জানবে…।” এর ফলে ওবিসিদের সংরক্ষণ কমতে পারে বলেও আশঙ্কাবার্তা দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিহারের জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট এদিন প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ৬৩ শতাংশ ওবিসি-ভুক্ত এবং ১৫ শতাংশ সাধারণ ক্যাটেগরির। এরপরই এই ধরনের সমীক্ষা জরুরি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এই সমীক্ষা করা উচিত বলে টুইট করেন রাহুল গান্ধী।