নয়া দিল্লি: পুরনো মোবাইলের সঙ্গে তুলনা কংগ্রেসের (Congress)। শুক্রবার এভাবেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এ দিন দিল্লিতে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসের (India Mobile Congress) সপ্তম অধিবেশনের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানেই মোবাইল ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালেই দেশের মানুষ পুরনো ফোন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”
দিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম, যেখানে সম্প্রতিই অনুষ্ঠিত হয়েছিল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন, সেখানেই শুরু হল ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেসের। তিনদিনের এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন অম্বানী গ্রুপের কর্ণধার আকাশ অম্বানী থেকে শুরু করে একাধিক শিল্পপতি ও টেলিকম ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত কর্তারা।
দেশে মোবাইল প্রযুক্তির উন্নয়নের সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়েই নাম না করে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রিস্টার্ট, ব্য়াটারিতে চার্জ দেওয়া বা ব্যাটারি বদল করেও কোনও লাভ হয়নি। ২০১৪ সালে দেশবাসী আউটডেটেড ফোন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং আমাদের দেশকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিল।”
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেই লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয় বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেন নরেন্দ্র মোদী।
টেলিকম অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালকে পরিবর্তনের বছর বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “২০১৪ শুধু একটা সাল নয়, এটা পরিবর্তন। ঠিক যেভাবে পুরনো ফোনের স্ক্রিন কাজ করে না, পুরনো সরকারও স্থবির হয়ে গিয়েছিল।”
ক্ষমতা পরিবর্তনের পর কীভাবে বড় বড় টেলিকম ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলি ভারতে পণ্য উৎপাদনের জন্য লাইন দিয়েছে, তাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “সম্প্রতিই গুগল ঘোষণা করেছে পিক্সেল ফোন ভারতে উৎপাদন করা হবে। স্যামসাংয়ের ফোল্ড ৫ ফোন ও অ্য়াপেলের আইফেন ১৫-ও ভারতে উৎপাদন করা হচ্ছে। গোটা বিশ্ব এখন মেড ইন ইন্ডিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আমরা শুধু দেশের অন্দরেই ৫জি প্রযুক্তির বিস্তার করছি না, একইসঙ্গে ৬জি প্রযুক্তিতেও বিশ্বনেতা হয়ে উঠছে।”