নয়া দিল্লি: আধুনিক যুগে আলোড়ন এনেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা এআইর দৌলতে এখন সহজ হয়ে গিয়েছে অনেক কাজ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিক্ষেত্রে নানা উদ্ভাবন করা হচ্ছে। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়েই এবার বসছে সম্মেলন। আগামী ১২ ডিসেম্বর জিপিএআই সামিট (GPAI Summit) শুরু হচ্ছে। এ দিন জিপিএআই সম্মেলনে সকলকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। এই নিয়ে লিঙ্কডইনে একটি দীর্ঘ পোস্টও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলকে জিপিএআই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখেন, “আমি আপনাদের সকলকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সামিট ২০২৩ অনুষ্ঠানে আহ্বান জানাচ্ছি, যা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও উদ্ভাবনের মিলিয়ে আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর এই সামিট শুরু হচ্ছে। আমার বিশ্বাস আপনারা এই অসাধারণ অনুষ্ঠানের অংশ হয়ে উপভোগ করবেন।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “আমরা অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি সময়ের মধ্যে বাস করছি। দশকের উদ্ভাবন ও মানবিক প্রচেষ্টা বাস্তবে পরিণত হয়েছে, যা এক সময়ে শুধুমাত্র কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। দ্রুতগতিতে হওয়া এই উন্নতির সময়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এমন একটি বিষয় যা অসম্ভব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এখন নতুন প্রজন্মের হাতে রয়েছে, যারা সম্ভাব্য প্রতিভায় ভরপুর।”
We live in interesting times and making it even more interesting is AI, which has a positive impact on
tech 🖥️,
innovation 🧪,
healthcare 🩺,
education 📖,
agriculture 🌾
and more.https://t.co/qnF9UrqlCjWrote a @LinkedIn Post on the very exciting GPAI Summit that begins on…
— Narendra Modi (@narendramodi) December 8, 2023
ভারতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারত অন্যতম নবীন একটি দেশ, যার অসাধারণ স্টার্ট আপ পরিবেশ ও দক্ষ কর্মক্ষমতা রয়েছে। এআই-র বিবর্তনে ভারত সক্রিয় অবদানকারী দেশ হয়ে উঠতে পারে। ভারতের ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্টাকচারের উদ্যোগ এর অন্যতম উদাহরণ।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত ৯-১০ বছরে ভারত ও ভারতের নাগরিকরা প্রযুক্তির সাহায্য়ে এক বিরাট ধাপ পার করেছে। যে সাফল্য অর্জন করতে অন্যান্য দেশের গোটা একটা প্রজন্ম সময় লেগেছে, সেখানে মাত্র কয়েক বছরে ভারত যে সাফল্য অর্জন করেছে, সে সম্পর্কে বললেও একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না। এটা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল যুগে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগর সাহায্যেই। একইভাবে ভারত নাগরিকদের ক্ষমতায়নেও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সেও বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে, তা সে নাগরিকদের নিজেদের ভাষায় পরিষেবা দেওয়াই হোক বা শিক্ষাকে আরও সহজ করা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও সহজলভ্য করা, কৃষিকাজকে আরও তথ্য নির্ভর করতে-ভারত একাধিক ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করছে।”
গ্লোবাল পার্টনারশিপ অন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা জিপিএআই মোট ২৮টি সদস্য দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ভারত জিপিএআই-তে বিশেষ অবদান রেখেছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এই কাউন্সিলের সদস্য় হয় ভারত। জিপিএআই-তে ১৫০টি স্টার্টআপ অংশ নেবে।