গান্ধীনগর: কাঁপবে পায়ের তলার মাটি। চারপাশে স্বয়ংক্রিয় আলোতে প্রজেক্ট করা হবে ধ্বংসলীলার ছবি। শোনা যাবে ধ্বংসের শব্দও। ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারি, গুজরাতের কচ্ছ এলাকা সাক্ষী হয়েছিল ভয়াবহ ভূমিকম্পের। ২১ বছর পর, সেই ভয়াবহ স্মৃতির অভিজ্ঞতা ফের পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠবে স্মৃতিবন মেমোরিয়ালে। আগামী রবিবার (২৮ অগস্ট) কচ্ছের ভুজে, ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মানুষদের স্মৃতির উদ্দেশে স্মৃতিবন মেমোরিয়াল জাদুঘর উৎসর্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানেই ভূমিকম্পের স্মৃতি ফের তাজা করার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।
কচ্ছের ভুজে, ভুজিও ডুঙ্গায় ৪৭০ একর এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে স্মৃতিবন মেমোরিয়াল প্রকল্প। ২০০১ সালের পর থেকে এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য রূপান্তর ঘটেছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাট ভূমিকম্প নিয়ে একটি জাদুঘর তৈরির সংকল্প নিয়েছিলেন। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের নেতৃত্বে গুজরাট সরকার, সময়মতো এই প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে। এই জাদুঘরে মোট ৮টি ব্লক রয়েছে – পুনর্জন্ম, পুনরাবিষ্কার, পুনরুদ্ধার, পুনর্নির্মাণ, পুনর্বিবেচনা, পুনরুদ্ধার এবং পুনর্নবীকরণ। প্রতিটি ব্লকে দর্শকদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আকর্ষণ রয়েছে। এই জাদুঘরে ২০০১ সালের ভূমিকম্পের পর থেকে ভুজের উন্নয়নের যাত্রা উপস্থাপন করা হয়েছে। জেনে নেওয়া যাক এই জাদুঘরের অনন্য বৈশিষ্টগুলি –
৫০টি অডিও ভিজ্যুয়াল মডেল, হলোগ্রাম, ইন্টারেক্টিভ প্রজেকশন এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে দর্শকরা এখানে ২০০১ সালের ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। এই জাদুঘরে দর্শকরা একটি টাচ প্যানেলের মাধ্যমে একটি ডিজিটাল শিখা জ্বালিয়ে গুজরাট ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। দর্শকরা টাচ প্যানেলে স্পর্শ করলেই একটি এলইডি প্যানেলের মাধ্যমে দেয়ালের মধ্য দিয়ে ওই আলো সিলিং পর্যন্ত ভ্রমণ করবে। ওই আলো জাদুঘরের বাইরে একটি আলোর রশ্মি তৈরি করবে, যা সমগ্র ভুজ থেকে দৃশ্যমান হবে।
জাদুঘরটির দেওয়াল এবং মেঝে নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে কচ্ছের স্থানীয় পাথর। এই পাথরের একটি আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল যে এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়। জাদুঘরে একটি স্মৃতি দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। সেই দেওয়ালে ভূমিকম্পে প্রাণ হারানো মোট ১২,৯৩২ জনের নাম ফলক বসানো হয়েছে।