নয়া দিল্লি: পুরনো মর্যাদা ফিরে পাওয়ার জল্পনার মাঝেই বৃহস্পতিবার জম্মু কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন দুপুর তিনটে থেকে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক শুরু হবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জম্মু-কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা। উপত্যকায় রাষ্ট্রপতি শাসনে ইতি টেনে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া, উন্নয়ন, নির্বাচন সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হবে বলেই জানা গিয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ মুছে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের “বিশেষ মর্যাদা” বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়। জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। শান্তি বজায় রাখতে জারি ছিল কার্ফু, বিচ্ছিন্ন ছিল ইন্টারনেট পরিষেবাও। অবশেষে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতেই গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী দফতর সর্বদলীয় বৈঠকের ঘোষণা করে।
বৈঠকে কারা যোগ দেবে, তা নিয়েও ছিল তুমুল জল্পনা। জম্মু-কাশ্মীরের গুপকর গোষ্ঠীর নেতারা পরপর দু’বার বৈঠকে বসেন। পরে জানানো হয় মেহবুবা মুফতি, ফারুক আবদুল্লা সহ একাধিক শীর্ষনেতারা এই বৈঠকে যোগ দেবেন। অন্যদিকে, কংগ্রেসের তরফেও জানানো হয়, রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবিতে তারাও বৈঠকে যোগ দেবেন।
বৈঠকের প্রস্তুতিতে গত সপ্তাহেই শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, আইবি ডিরেক্টর অরবিন্দ কুমার, ‘র’ প্রধান সামন্ত কুমার গোয়েল, সিআরপিএফ ডিরেক্টর জেনারেল কুলদীপ সিং ও জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিংয়ের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মতো বাকি থাকা নির্বাচনগুলিও সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা করা হতে পারে। করোনা সংক্রমণের প্রভাবে পর্যটক সংখ্যা কম থাকায় এটিই নির্বাচনের আদর্শ সময় বলে মনে করছে কেন্দ্র। তবে আলোচনায় বিরোধীদের প্রধান দাবি থাকবে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া। এছাড়াও একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলেপ করার পর এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন বলে তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে।
আরও পড়ুন: বঙ্গভঙ্গ বিতর্কের মাঝে আপাতত দিল্লি সফর বাতিল শুভেন্দুর! জোর চর্চা