নয়া দিল্লি: সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভার নতুন মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রথম দিনের বৈঠকেই করোনা নিয়ে বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও সংক্রমণ নিয়ে যেন হেলাফেলা না করা হয়, সেই বিষয়েও সতর্ক করেন নতুন মন্ত্রীদের। এ বার তিনি দেশে কত পরিমাণ অক্সিজেন মজুত রয়েছে এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর কতই বা উৎপাদন বেড়েছে, তা খতিয়ে দেখবেন।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে যে অক্সিজেনের আকাল দেখা গিয়েছিল, তাতে বহু সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালগুলির অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করতে চালু করা হয়েছিল অক্সিজেন এক্সপ্রেস। সড়কপথে অক্সিজেনবাহী ট্যাঙ্কারকে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছতে সাহায্য করার জন্য সময় অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছিল গ্রিন করিডরও। মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলানোর মাঝেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিতে অক্সিজেন উৎপাদন ও পরিকাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে জরুরি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠলেও একই ভুল পুনরায় করতে চায় না কেন্দ্র। সেই কারণেই রাজ্য় তথা গোটা দেশজুড়ে অক্সিজেনের পরিমাণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে বিশেষ বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র অনুযায়ী, এ দিন সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের অক্সিজেন পরিকাঠামো ও লভ্যতা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের রিভিউ বৈঠক করবেন।
গতকালই নয়া মন্ত্রী পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মাস্ক ছাড়া সাধারণ মানুষদের ঘুরে বেড়ানোর একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে বলেন, “করোনাকে কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি এখনও ভয়ঙ্কর। পাশাপাশি ভাইরাসের মিউটেশনও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।”
ইতিমধ্যেই কেরল, ছত্তীসগঢ়, মধ্য় প্রদেশ, ত্রিপুরা সহ ছয়টি রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সেখানে কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য। দেশে বাড়ানো হয়েছে টিকাকরণের হারও। গতকাল নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মান্ডব্য জানান, আগামিদিনের কথা ভেবে অক্সিজেন, বেড ও জরুরি ওষুধ নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। ২৩,১২৩ কোটি টাকার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্যাকেজও ঘোষণা করেন তিনি।