নয়া দিল্লি: আপাতদৃষ্টিতে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্য থেকেই দেশের ৭০ শতাংশ আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। এই পরিস্থিতির পিছনে কারণ এবং রাজ্যগুলি কী কী সতর্কতা অবলম্বন করছে, তা জানতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।
শুক্রবার সকাল ১১টায় দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ু (Tamil Nadu), অন্ধ্র প্রদেশ (Andhra Pradesh), কর্নাটক (Karnataka), কেরল(Kerala)-র মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। মহারাষ্ট্র (Maharashtra) ও ওড়িশা(Odisha)-র মুখ্যমন্ত্রীকেও এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে, কারণ এই রাজ্য়গুলিতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ভডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমেই হবে এই বৈঠক। রাজ্য়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার খতিয়ান চাইবেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গত ১৩ জুলাই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে তিনি করোনা মোকাবিলায় রাজ্যগুলির প্রস্তুতির প্রশংসাও করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “যেভাবে পাহাড়ে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন এবং মাস্ক না পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। এখনও করোনার বিপদ কেটে যায়নি। তাই অসচেতন হলে চলবে না।” তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা থেকে বাঁচতে রাজ্যগুলিকে আরও দ্রুত টিকাকরণের পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি কেরলেই। তামিলনাড়ু বা কর্নাটকও পিছিয়ে নেই। এ দিকে, ওড়িশাতেও দীর্ঘদিন ধরেই সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের উপরে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে নামলেও বিগত কয়েকদিন ধরেই ফের উর্ধ্বমুখী হয়েছে সংক্রমণ।
অন্যদিকে, গতকালই একাধিক চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সময়ের আগেই আছড়ে পড়তে চলেছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। অগস্ট মাস থেকেই সংক্রমণের জোয়ার দেখা যেতে পারে। তবে আপাতভাবে আগেরবারের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: লেগেই রয়েছে সংক্রমণের সূচকের ওঠানামা, টিকাপ্রাপ্তের সংখ্যা পৌঁছল ৩৯ কোটিতে