নয়া দিল্লি: অপেক্ষার প্রহর প্রায় শেষ। রাত পোহালেই দিল্লি পা রাখবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন (G-20 Summit)। তার আগেই, ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে চলে আসছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। অতিথিদের স্বাগত জানাতে কেন্দ্রের তরফে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। জি-২০ সম্মেলনে নিজস্বতার কিছু ছোঁয়াও রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জানা গিয়েছে, আগত প্রত্যেক রাষ্ট্রনেতাদের ব্য়ক্তিগতভাবে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। শনিবার সকল রাষ্ট্রনেতার জন্য বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন তিনি।
কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জি-২০ সম্মেলনের প্রথমদিন, ৯ সেপ্টেম্বরে সকাল ৯টার মধ্যে প্রগতি ময়দানের ভারত মন্ডপমে পৌঁছে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সকাল ১০টা থেকে অতিথিরা আসতে শুরু করবেন। সকলকে ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গাড়ির দোরগোড়া থেকে ভারত মন্ডপমের ভিতর অবধি অতিথিদের নিয়ে আসবেন তিনি।
জি-২০ স্পেশাল সেক্রেটারি (অপারেশন) মুক্তেশ পরদেশী জানান, ৪০ জন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, কোনও কোনও দেশের বিদেশমন্ত্রী আসছেন। প্রত্যেক রাষ্ট্রপ্রধানের ডেলেগেশন টিমে ১৫০ থেকে ২০০ জন সদস্য থাকবেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীও থাকবে। সব মিলিয়ে শনিবার ও রবিবার ভারত মন্ডপমে প্রায় ১০ হাজার জনসমাগম হবে বলেই অনুমান। ভারত মন্ডপমের প্রথম তলে জি-২০ সামিট হল রয়েছে, সেখানেই বৈঠক হবে। রাষ্ট্রপ্রধানদের প্রতিনিধি ও অন্যান্য আধিকারিকরা ভিউয়িং রুমে থাকবেন। সেখান থেকে সম্মেলনের সরাসরি সম্প্রচার দেখতে পাবেন তাঁরা।
জি-২০ সম্মেলনের পাশাপাশি শুক্রবার থেকেই একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তবে কোথায় এই বৈঠক হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। আপাতত প্রগতি ময়দানের ২০টি মিটিং রুম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
সম্মেলনের পরে, রাতে বিশাল নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছে। নৈশভোজের আতিথেয়তার দায়িত্বে রয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নৈশভোজের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।