PM Modi: স্বদেশি পণ্য ব্যবহার থেকে সব ভাষাকে সম্মান, দীপাবলিতে দেশবাসীকে চিঠি মোদীর
PM Modi writes letter to citizen: ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদীমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। কমতে কমতে এই মুহূর্তে দেশে মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১১। দেশবাসীকে চিঠিতে মোদী লেখেন, "এবারের দীপাবলি স্পেশাল, কারণ দেশের অনেক জেলায় প্রথমবার দীপাবলির আলো জ্বলবে। এইসব জেলা মাওবাদী প্রভাবিত ছিল। হিংসার পথ ছেড়ে অনেক মাওবাদী সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন।"

নয়াদিল্লি: দীপাবলিতে আলোয় সেজে উঠেছে দেশ। আর এই আলোর উৎসবে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই চিঠিতে রাম মন্দির নির্মাণ, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য, নকশাল দমনে কেন্দ্রের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের আহ্বানও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে চিঠিতে দেশের সমস্ত ভাষাকে সম্মান করার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অযোধ্যায় নবনির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়। এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পর এটা দ্বিতীয় দীপাবলি। ভগবান রাম আমাদের ন্যায়পরায়ণতার শিক্ষা দিয়েছেন। একইসঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগান। কয়েকমাস আগে অপারেশন সিঁদুরে তা আমরা দেখেছি। অপারেশন সিঁদুরে ভারত শুধু ন্যায়পরায়ণতাকে তুলে ধরেনি, অন্যায়ের প্রতিশোধ নিয়েছে।”
২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে দেশকে মাওবাদীমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। কমতে কমতে এই মুহূর্তে দেশে মাওবাদী প্রভাবিত জেলার সংখ্যা ১১। দেশবাসীকে চিঠিতে মোদী লেখেন, “এবারের দীপাবলি স্পেশাল, কারণ দেশের অনেক জেলায় প্রথমবার দীপাবলির আলো জ্বলবে। এইসব জেলা মাওবাদী প্রভাবিত ছিল। হিংসার পথ ছেড়ে অনেক মাওবাদী সমাজের মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। ভারতের সংবিধানে ভরসা রেখেছেন। দেশের জন্য এটা বড় সাফল্য।”
পণ্য ও পরিষেবা কর কমানোর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। খুব তাড়াতাড়ি ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হতে চলেছে বলে লিখেছেন তিনি। ‘বিকশিত’ ও ‘আত্মনির্ভর ভারত’-র স্বপ্ন পূরণের জন্য স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের আহ্বান জানান। চিঠিতে দেশের সমস্ত ভাষাকে সম্মান করার কথা লেখেন মোদী। স্বাস্থ্য়ের প্রতি খেয়াল রাখার কথা বলেন। খাবারে তেলের পরিমাণ কমানোর অনুরোধ করেন। যোগাসনে জোর দিতে বলেন।
চিঠির শেষে মোদী লেখেন, “দীপাবলি আমাদের শিক্ষা দেয় যে একটা মোমবাতি আর একটা মোমবাতিকে জ্বালায়। এতে তার জ্যোতি কমে না, বরং বাড়ে। তেমনই আমাদের সমাজে সম্প্রীতি, সহযোগিতা ও ইতিবাচক ভাবনা ছড়িয়ে দিতে হবে।”
