মোরবি: ৩০ অক্টোবর গুজরাটের মোরবিতে ভয়াবহ ব্রিজ দুর্ঘটনায় (Morbi Bridge Collapse) ১৩০টি তরতাজা প্রাণ ঝড়ে গিয়েছে। ব্রিজ মেরামতির দায়িত্বে থাকা ওরেভা গ্রুপের দফতরে বৃহস্পতিবার সকালেই গিয়েছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা দেখেন অফিসটিতে তালা লাগনো রয়েছে। তাই তারা সেখান থেকে ফিরে এসেছেন। পুলিশের এই অভিযান নিয়ে সরকারিভাবে কিছু না জানানো হলেও, পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
ওরেভা গ্রুপের অফিসে এই পুলিশি অভিযান নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় ওই সংস্থার ৯ কর্মী-আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু ওরেভা ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অজন্তা দেওয়াল ঘড়ির জন্যই পরিচিত এই সংস্থা। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখভাই পটেল জানিয়েছিলেন, রক্ষণাবেক্ষণের পর ব্রিজটি কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ বছর ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় থাকবে। কিন্তু ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়া ব্রিজটির উদ্বোধন হয়ে যাওয়ার পর ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজের সংস্কার নিয়ে মোরবি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছিলেন জয়সুখভাই। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে মোরবির ব্রিজ দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়েছে গুজরাটের বিজেপি সরকার। মৃতদের পরিবাররাও রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মতো বিরোধীদলগুলি ক্রমাগত বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে। কিন্তু তাসত্ত্বেও মামলায় ওরেভা গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম থাকায় বিজেপিকে নিশানা করছেন বিরোধীরা। চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল যে মেরামতির জন্য ব্রিজটিকে ৮ থেকে ১২ মাস বন্ধ রাখবে সংস্থা। কিন্তু ৭ মাসের মধ্যে ব্রিজটিকে চালু করে দেওয়া হয়েছে। আদালতকে পুলিশ জানিয়েছে, ওরেভা মেরামতির কাজে উত্তীর্ণ হয়নি। ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। সরকারি আইনজীবী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ওরেভার এক ম্যানেজার ব্রিজ দুর্ঘটনার জন্য ভগবানের ইচ্ছেকেই দায়ী করেছেন।