হায়দরাবাদ: নাবালক হলেও কোনও ছাড় নয়। হায়দরাবাদ নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি দিতে চায় পুলিশ। গত সপ্তাহেই হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে গণধর্ষণ করা হয় এক কিশোরীকে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ৫ জনই নাবালক। তবে পুলিশের দাবি, এদের কাউকেই যেন নাবালক হিসাবে যেন গণ্য না করা হয় এবং এদের কাউকেই কম শাস্তি না দেওয়া হয়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত যে পাঁচ জন নাবালক, তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছর হতে এক মাস বাকি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই পাঁচ জনই ধর্ষণে অভিযুক্ত। অপর এক অভিযুক্ত ধর্ষণে জড়িত না হলেও সেই কিশোরও নির্যাতিতার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিল।
ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী, কোনও নাবালক অভিযুক্তকে তিন বছরের বেশি জেলে রাখা যায় না। এ দিন হায়দরাবাদ পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ জানান, অভিযুক্ত ওই পাঁচ জনকে যাতে প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে গণ্য করা হয়, এই আবেদন জানানো হবে আদালতে। অভিযুক্তরা যাতে সর্বাধিক শাস্তি পায়, এই আবেদনও জানানো হবে।
অভিযুক্ত নাবালকেরা দোষী হিসাবে সাব্যস্ত হলে, তাদের সর্বাধিক তিন বছর অবধি শাস্তি দেওয়া যাবে। তবে ২০১৫ সালে নাবালক বিচার আইন সংশোধন করা হয়, যেখানে বলা হয় যে,যদি অভিযুক্তের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হয় এবং ঘৃণ্য কোনও অপরাধ করে, তবে এই সংশোধনী আইনের অধীনে ন্যূনতম সাত বছর অবধি সাজা দেওয়া হতে পারে।
তবে অভিযুক্তদের নাবালক হিসাবে গণ্য করা হবে নাকি প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে, তা স্থির করার অধিকার একমাত্র আদালতেরই রয়েছে। অভিযুক্তের মানসিক ও শারীরিক ক্ষমতা, অপরাধ কতটা গুরুতর, তা বুঝতে পারা এবং অপরাধের শাস্তি কী হতে পারে, তা বোঝার বোধ বিচার করেই নাবালকদের অপরাধের বিচার করা হয়।