নয়া দিল্লি: পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ (Assembly Election Results 2022) হয়েছে বৃহস্পতিবার। এরমধ্যে চার রাজ্যেই ফের একবার গেরুয়া ঝড় উঠেছে, হাতছাড়া হয়েছে কেবল পঞ্জাব (Punjab)। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই নয়া দিল্লির সদর দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) বলেছিলেন, “২০২২ সালের নির্বাচনের ফলেই ২০২৪ সালে লোকসভার ফল নির্ণয় হয়ে গিয়েছে”। তবে এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর(Prashant Kishor)। এদিন তিনি টুইট করে বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফল ২০২৪ সালেই নির্ধারণ হবে। প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের মনোবল ভাঙার জন্যই তিনি এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
চার রাজ্যে বিজেপির রেকর্ড জয়কে কটাক্ষ করেই এদিন সকালে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “ভারতের জন্য লড়াই ও তার ফল ২০২৪ সালেই নির্ধারিত হবে, অন্য কোনও রাজ্যের নির্বাচনের মাধ্যমে নয়। সাহেব এই কথা ভালভাবেই জানেন! সেই কারণেই তিনি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে চালাকি করছেন এবং বিরোধী দলগুলির মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই ভুল ব্য়াখ্যার ফাঁদে পা দেবেন না।”
Battle for India will be fought and decided in 2024 & not in any state #elections
Saheb knows this! Hence this clever attempt to create frenzy around state results to establish a decisive psychological advantage over opposition.
Don’t fall or be part of this false narrative.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) March 11, 2022
গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর বলেছিলেন, “উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের এক ঝলক আন্দাজ দিয়েছে। ২০১৭ সালের উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশ যখন হয়েছিল, তখনই অনেকে বলেছিলেন যে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। আমি এইটুকুই বলতে পারি যে, এইবারও সেই তত্ত্বই জারি থাকবে… ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলেই দেখা যাচ্ছে।”
পরপর দুইবার উত্তর প্রদেশে একই সরকার নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ডকেও তুলে ধরে তিনি বলেন, “উত্তর প্রদেশ দেশকে অনেক প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশে পাঁচ বছরের কোনও সরকারকে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার নজির এটি প্রথম।বিগত ৩৭ বছর পর উত্তর প্রদেশে প্রথমবার কোনও সরকার পরপর দুইবার ক্ষমতায় এল।”
দেশের সবথেকে বড় রাজ্য হওয়ায়, উত্তর প্রদেশের মানুষের মতাদেশ থেকেই গোটা দেশের নাগরিকদের মতামতের আন্দাজ পাওয়া যায়। উত্তর প্রদেশে মোট ৮০ টি লোকসভা আসন রয়েছে।
২০১৪ সালে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছিলেন প্রশান্ত কিশোরই। কিন্তু এরপরই সম্পর্কের অবনতি হয়। দল বদলে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিনকেও নির্বাচনে জয়লাভ করতে সাহায্য করেছেন।
আরও পড়ুন: PM Modi Gujarat Visit: ৪ রাজ্যেই উঠেছে গেরুয়া ঝড়, এবার নিজের গড়েই নির্বাচনী প্রচারে মোদী