Post Poll Violence : ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শেখ সুফিয়ানের আবেদনে রায় সংরক্ষণ সুপ্রিম কোর্টে
Nandigram Post Poll Violence : বিধানসভা নির্বাচনের পরে পশ্চিমবঙ্গে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা শেখ সুফিয়ানের আবেদনের উপর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তার রায় সংরক্ষণ করেছে।
নয়া দিল্লি : বিধানসভা নির্বাচনের পরে পশ্চিমবঙ্গে হিংসার (Post Poll Violence) বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা শেখ সুফিয়ানের আবেদনের উপর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তার রায় সংরক্ষণ করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সুফিয়ানের পক্ষে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ওই আদেশে তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই শেখ সুফিয়ানই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। এর আগে, সোমবার এই মামলায় শুনানির সময় শেখ সুফিয়ানের আবেদনের বিরোধিতা করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সিবিআইয়ের তরফে শীর্ষ আদালতকে বলা হয়েছিল, ভোট-পরবর্তী হিংসা একটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এর বাস্তবতা বের করে আনতে আবেদনকারী শেখ সুফিয়ানকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এবং এর জন্য যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলেও সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত বছর বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ব্যাপক হিংসার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির ছিল মূলত রাজ্যের শাসক দলের দিকে। এই সময়ের মধ্যে একাধিক মানুষ ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হয়েছিল বলে অভিযোগ। এর পাশাপাশি ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সেই অভিযোগকে তুলে ধরে একাধিকবার রাজ্যের শাসক শিবিরকে আক্রমণ শানিয়েছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্ট গত সপ্তাহেই সুফিয়ানকে গ্রেফতারি থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্বস্তি দিয়েছে। এখন সিবিআই তার জামিনের বিরোধিতা করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও এবং বিচারপতি বি আর গভইয়ের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এই পিটিশনের শুনানি চলছিল। সেই সময় আদালতের কাছে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শেখ সুফিয়ানকে অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষাকবচ মঞ্জুর করার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “তিনি (শেখ সুফিয়ান) একজন খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি। কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ ২০২১ সালের নভেম্বরে এবং তিনি এখন পর্যন্ত গ্রেফতারি এড়াতে সক্ষম হয়েছেন।”
নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসন থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পরে নির্বাচনী এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সিবিআই ওই এলাকায় বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির মৃত্যুর তদন্ত করছিল। তিনি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার একদিন পরে নন্দীগ্রামে হিংসার শিকার হন এবং এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান।
আবেদনকারী শেখ সুফিয়ানের পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল যুক্তি দেন, ” এই গ্রেফতারটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল এবং শুভেন্দু অধিকারী আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে আবেদনকারীকে গ্রেফতার করা হবে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও যুক্তি দেন, আবেদনকারীর মোবাইল লোকেশন কথিত ঘটনার স্থান থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ছিল। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমান লেখি বলেছেন, সহ-অভিযুক্তরা ইতিমধ্যেই হেফাজতে ছিল। তিনি আরও যুক্তি দেন, প্রাথমিক চার্জশিটে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তার অর্থ এই নয় যে তিনি নির্দোষ।