পুরী: দেশের যে সব তীর্থক্ষেত্রে সবথেকে বেশি মানুষের সমাগম হয়, তার মধ্যে অন্যতম ওড়িশার পুরীতে অবস্থিত জগন্নাথ মন্দির। জানা যায়, অবন্তীর রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এই মন্দির তৈরি করেছিলেন। প্রাচীন এই মন্দিরে আজও মেনে চলা হয় বহু পুরনো রীতি-নীতি। শুধুমাত্র দেবদর্শন নয়, এই মন্দিরের ভোগও দর্শনার্থীদের কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের জন্য ভোগ রান্না হয় মন্দিরের রান্নাঘরে। থাকে বিপুল আয়োজন। মূলত যে সব খাবার জগন্নাথ দেবের পছন্দ বলে বিশ্বাস করা হয়, সেগুলিই রান্না হয় মন্দিরে। দেবতাকে নিবেদন করার পরপর ভোগ বিতরণ করা হয়। কিন্তু সেই ভোগের ক্ষেত্রেও অনেক নিয়ম আছে। বেশ কিছু খাদ্যদ্রব্য আছে, যা ভোগে ব্যবহার করা হয় না।
আলু ও টমেটোকে দেশি খাবার হিসেবে গণ্য করা হয় না, সে কারণে এগুলি থাকে না ভোগে। শুধু তাই নয়, ভোগের উপাদান হিসেবে কখনই থাকে না বিট, ভুট্টা, মটরশুঁটি, বাঁধাকপি, গাজর, ধনে পাতা, বিন, ক্যাপসিকাম, করলা, ঢেঁড়শ ও শশা। এছাড়া মশলার ক্ষেত্রেও রয়েছে বাছবিচার। এলাচ ও লবঙ্গ কখনই ব্যবহার করা হয় না ভোগের রান্নায়।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে একটি বিরাট বড় রান্নাঘর আছে, সেখানেই হয় রান্না। ওই রান্না প্রতিদিন বিতরণ হয় অন্তত ৩০০০ ভক্তের মধ্যে। ১৫ হাজার স্কোয়্যার ফুট এলাকা জুড়ে তৈরি ওই রান্নাঘর। সাধারণত সিদ্ধ করা খাবারই থাকে ভোগের থালায়। প্রথমে জগন্নাথ দেব ও তারপর বিমলা দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়, তারপরই এটি হয় মহাপ্রসাদ।