Prajwal Revanna: প্রজ্বল রেভান্নাকে নোটিস কেন্দ্রের, বাতিল হবে পাসপোর্ট?
Prajwal Revanna: শুক্রবার (২৪ মে), যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠালো কেন্দ্রীয় সরকার। যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরই জার্মানি পালিয়েছিলেন জেডি(এস) সাংসদ। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিল সিদ্দারামাইয়া।
নয়া দিল্লি: অবশেষে, প্রজ্বল রেভান্না মামলায় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার (২৪ মে), সাসপেন্ড হওয়া জনতা দল (সেকুলার) দলের নেতাকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে বিদেশ মন্ত্রক। প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে এক গৃহকর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বহু মহিলার য়ৌন হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু হেনস্থা কর নয়, ওই অপকর্মের ভিডিয়ো রেকর্ড করার অভিযোগও রয়েছে জেডিএস সাংসদের বিরুদ্ধে। গত মাসে, এই অশ্লীল ভিডিয়োগুলির বেশ কয়েকটি ভাইরালও হয়েছিল।
গত মাসে এই যৌন কেলেঙ্কারি অভিযোগ ওঠার পরই, হাসান কেন্দ্রের সাংসদ, তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে জার্মানি পালিয়েছেন। এখন তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ জানে না। এই অবস্থায় তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দাামাইয়া। এরপরই, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হল। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে, পলাতক সাংসদকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা শুরু করল কেন্দ্র, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, পাসপোর্ট আইন, ১৯৬৭-র অধীনে প্রজ্বল রেভান্নাপ কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, প্রজ্বল রেভান্না মামলায় কেন্দ্র কেন কোনও পদক্ষেপ করছে না, এই প্রশ্ন বারবার উঠছিল। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে, রেভান্না মামলার দায়, পুরোপুরি রাজ্য সরকারের উপরই চাপিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার, বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্করও রেভান্নার কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেছেন, “২১ মে কর্নাটক সরকারের কাছ থেকে এই অনুরোধ পেয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। সংবাদমাধ্যমে অনেকে অনেক কথা বলছে। জানি না অন্যান্য সরকার বা রাজ্য সরকারগুলি কীভাবে কাজ করে। বিদেশ মন্ত্রকে আমরা অন্তত আইন মেনে কাজ করি।”
চলতি মাসের শুরুতে, বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, প্রজ্বল রেভান্না কূটনৈতিক পাসপোর্ট নিয়ে জার্মানি গেলেও, এই ভ্রমণের জন্য তিনি কোনও রাজনৈতিক ছাড়পত্র চাননি বিদেশ মন্ত্রকের কাছে। তাই, বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কোনও ভিসা নোটও জারি করা হয়নি। কারণ, কূটনৈতিক পাসপোর্ট যাদের থাকে, তাদের জার্মানিতে ভ্রমণের জন্য কোনও ভিসা লাগে না। এই অবস্থায় প্রজ্বল রেভান্নার কুটনৈতিক পাসপোর্ট যদি বাতিল করা হয়, তাহলে তার বিদেশে থাকা অবৈধ হয়ে যাবে। সেই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশ তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে পারে।